Diamond Harbour: পানীয় জলে পোকা ও কেঁচো, ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে কড়া পদক্ষেপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ার
Diamond Harbour: অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে পুলিশ পুরসভা থেকে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ২জন ইঞ্জিনিয়ার ও পাম্প রক্ষণাবেক্ষণর এক ঠিকাদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কাজে গাফিলতির অভিযোগে ২ ইঞ্জিনিয়ার-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই ইঞ্জিনিয়ার মৃদুল মণ্ডল ও প্রবীর পোল্লে। ধৃতদের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) পুরসভার এক বাসিন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন পাইপলাইনের জলে পোকা ও কেঁচো বের হচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। যার জেরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় নজরে আসে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। সূত্রের খবর, ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখার সঙ্গে সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ প্রশাসনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে পুলিশ পুরসভা থেকে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ২জন ইঞ্জিনিয়ার ও পাম্প রক্ষণাবেক্ষণর এক ঠিকাদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে পুলিশ।ঘটনাকে ঘিরে জোর আলোড়ন ছড়িয়েছে ডায়মন্ড হারবার শহর জুড়ে। ধৃতদের ডায়মন্ড হারবার মহাকুম আদালতে পেশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, আগে বেশ কয়েকটি রিজার্ভারের মাধ্যমে ১৬ টি ওয়ার্ডের প্রায় ৬০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করত ডায়মন্ড হারবার পুরসভা। কিন্তু সেই জল পর্যাপ্ত ছিল না। পানীয় জলের সঙ্কটের কথা ভেবে বাম আমলে ডায়মন্ড হারবারে একটি জল প্রকল্প তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে ২০০৮ সালে কাজ শুরু হয়। তখন কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ৩৪ কোটি টাকা। পরে কাজ করতে গিয়ে আরও টাকার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কাজ শেষে খরচ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪৫ কোটিরও বেশি টাকা।মোট টাকার মধ্যে রাজ্য সরকার দিয়েছে ১৫ শতাংশ ও পুরসভা দিয়ে ৫ শতাংশ টাকা।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি হুগলি নদী থেকে অপরিশোধিত জল তুলে পরিশোধন করে রিজার্ভারে মজুত রেখে পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রত্যেক ওয়ার্ডে সরবরাহের কাজ শুরু হয়। কিন্তু সমস্যা দেখা প্রকল্প চালু হওয়ার দু’বছর পর থেকেই। অচমকা জল প্রকল্প থেকে সরবরাহ পাইপ লাইনের জলে নোংরার পাশাপাশি লবণের মাত্রা বেশি থাকায় খাওয়ার অযোগ্য ওঠে। বাসিন্দাদের অনেকেই নোংরা ও লবণ জলই ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। ডায়মন্ড হারবার শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে খাওয়ারের দোকান ও হোটেলগুলোতেও এই জল ব্যবহার করা হচ্ছে। গরম পড়তেই পানীয় জলের সমস্যা বাড়তে শুরু করে ডায়মন্ড হারবারে। গত কয়েকদিন ধরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ পানীয় জল থেকে পোকা ও কেঁচো বের হতে শুরু করে। সেই ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই সাংসদের নজরে পড়ে।
বিজেপি নেতা মনোতোষ “ডায়মন্ড হারবারে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। অনেক বার আমরা বলে এসেছিল। মানুষ ড্রামের জল কিনে খান। কিন্তু সবাই তো তা পারেন না।”
তৃণমূল বিধায়ক পান্নালাল হালদার বলেন, “সমস্যা আর ফির না আসে, তার ব্যবস্থা নিতে বলব। পাইপ অনেক সময় ফেটে যায়। তখনই পানীয় জলে নোংরা মিশে যায়।”