Narendrapur Ramakrishna Mission: মেধাতালিকায় ৯ জন, ‘প্রথাগত বিষয়ের বাইরে পড়েও মেলে সাফল্য, দেখিয়ে দিল ওরা’, বলছেন নরেন্দ্রপুরের হেড মাস্টার
Narendrapur Ramakrishna Mission: অভাবনীয় সাফল্যের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শুভ্রাংশু। রীতিমতো গর্বিত কণ্ঠে বলেন,“আমি তো চিরকালই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের একজন আবাসিক ছাত্র। সে ক্ষেত্রে স্কুলের অবদান নতুন করে আর কী বলব।”
নরেন্দ্রপুর: এক থেকে দশের মেধাতালিকায় (HS Merit List 2023) ঠাঁই পেয়েছেন ৮৭ জন। তালিকায় শুধুমাত্র নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন (Narendrapur Ramakrishna Mission) থেকে রয়েছেন ৯ জন পড়ুয়া। প্রথম স্থানাধিকারী শুভ্রাংশু রায়ও এই স্কুলেরই পড়ুয়া। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। যা শতাংশের হিসেবে ৯৯.২। উচ্চমাধ্যমিকে শুভ্রাংশুর বিষয় ছিল বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান বিদ্যা, অঙ্ক এবং কম্পিউটার সায়েন্স। শুভ্রাংশুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের মহেশতলাতে। বাবা সবজি বহনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই কাজ করেই কোনওমতে চলে সংসার। পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। ছেলের এই অভাবনীয় সাফল্যে খুশির হাওয়া গোটা পরিবারে। পঞ্চম শ্রেণি থেকেই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াশোনা করেছে শুভ্রাংশু।
মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা নরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও নরেন্দ্রপুরের পড়ুয়া। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। সপ্তম স্থানে রয়েছে বিতান শাসমল, অভিরূপ পাল, অর্ক ঘোষ। তিনজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৯০। ৪৮৯ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম স্থান দখল করে নিয়েছেন নরেন্দ্রপুরের সৈয়দ সাকলাইন কবীর। ৪৮৮ পেয়ে নবম সায়ন সাহা এবং অর্কপ্রতিম দে। মেধাতালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ৯ জন পড়ুয়া স্থান পাওয়ায় রীতিমতো আপ্লুত প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশনন্দ মহারাজ।
তিনি বলেন, “একেবারে প্রথাগত সাবজেক্ট এর বাইরে গিয়ে আলাদা কম্বিনেশনে পড়াশোনা করে নজর কেড়েছে আমাদের ছাত্ররা। শুধু তাই নয়, নিয়ানুবর্তিতা এবং সমস্ত সমাজমাধ্যম, মোবাইল থেকে দূরে থাকার জন্যই এই সাফল্য মিলেছে ওদের।” মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতেও চোখ ধাঁধানো ফল করেছিল নরেন্দ্রপুরের পড়ুয়ারা। এবার উচ্চমাধ্যমিকের ফলেও সেই ধারা অব্যাহত। অন্যদিকে নিজের নজরকাড়া সাফল্যের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শুভ্রাংশু। রীতিমতো গর্বিত কণ্ঠে বলেন,“আমি তো চিরকালই নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের একজন আবাসিক ছাত্র। সে ক্ষেত্রে স্কুলের অবদান নতুন করে আর কী বলব। স্কুল ছাত্রদের যা বানায় তা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। নরেন্দ্রপুরের এক ক্ষেত্রে একটা ঐতিহ্য আছে।”