AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sonarpur Child Death: ঠান্ডা মাথার খুন নাকি বিকৃত চাহিদা? সোনারপুরে নাতনি-খুনে কী সাফাই অভিযুক্ত দাদুর?

Sonarpur News: সোনারপুরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। চার বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু ঘিরে পড়েছে শোরগোল। ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করা হয়েছে দাদুকে। তিনিই যে খুনি তাও স্বীকার করেছেন পুলিশি জেরায়। কিন্তু নিজের নাতনিকেই কেন খুন করলেন ওই অভিযুক্ত দাদু? বিকৃত কোনও চাহিদা নাকি অন্য কোনও রহস্য? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে পুলিশকে।

Sonarpur Child Death: ঠান্ডা মাথার খুন নাকি বিকৃত চাহিদা? সোনারপুরে নাতনি-খুনে কী সাফাই অভিযুক্ত দাদুর?
প্রতীকী ছবিImage Credit: Tv9 Graphics
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2025 | 6:39 PM
Share

সোনারপুর: মা সংজ্ঞাহীন। বাবা পড়ে রয়েছেন মোমিনপুরে। চার বছরের মেয়ের মদনাতদন্ত চলছে সেখানে। দাদু-দিদা উভয়েই থানায়। দাদু গ্রেফতার। দিদা আটক। একটা মৃত্যু বয়ে নিয়ে এল কত ঝড়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বলল, ‘এমন ঘটনা সত্যি বিরল, ভয়াবহ।’

সোনারপুরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। চার বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু ঘিরে পড়েছে শোরগোল। ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করা হয়েছে দাদুকে। তিনিই যে খুনি তাও স্বীকার করেছেন পুলিশি জেরায়। কিন্তু নিজের নাতনিকেই কেন খুন করলেন ওই অভিযুক্ত দাদু? বিকৃত কোনও চাহিদা নাকি অন্য কোনও রহস্য? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে পুলিশকে।

রবিবার সন্ধ্য়ায় মৃত্যু হয় সোনারপুরের কোদালিয়ার কদমতলা এলাকার ওই শিশুকন্যার। এলাকাবাসীরা যখন তাঁর চিৎকার শুনে বাড়িতে যান, তখন তারা দেখেন, মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে শিশুর দেহ। গোটা ঘর ভেসে যাচ্ছে রক্তে। তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। সোমবার এই ঘটনায় দাদুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক করা হয় দিদা ও বাড়ির মহিলা পরিচারিকাকে। তারপরই তদন্তে আসে নয়া মোড়।

জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দাদু। কিন্তু কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন তিনি? ঠান্ডা মাথার পরিকল্পিত খুন নাকি গোটা ঘটনাটাই ঘটেছে উত্তেজনার বশে? সূত্রের খবর,পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর নাতনি খুব বিরক্ত করছিল তাঁকে। সেই কারণেই আর মাথা ঠিক রাখতে পারেননি অভিযুক্ত। রবিবার সন্ধ্যায় নাতনি যখন ঘুমোচ্ছিল, সেই সুযোগেই রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসে কুপিয়ে খুন করে তাঁকে।

পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত। সেই মনের রোগের জেরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি । একই মত এলাকাবাসীর। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত শিশুদের পছন্দ করতেন না। বড্ড খিটখিটে। পাড়ার কোনও বাচ্চাই তাঁর দাদুর কারণে নিহত শিশুর সঙ্গে খেলতে যেত না। এমনকি, গোটা দিন বাড়ির মধ্যেই ওই শিশুকে কার্যত বন্দি করে রাখতেন অভিযুক্ত। এদিন জেরা চলাকালীন হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আপাতত বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।