
ভাঙড়: ফের গুলি চলল ভাঙড়ে। তৃণমূল নেতাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। ভাঙরের উত্তর কাশিপুর থানার কাঠালিয়া সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। রবিবার শোনপুরে তৃণমূলের একটি ছাত্র যুব জনসভা রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই উপলক্ষে ভোগালী দু’নম্বর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি আলিনুর মোল্লা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব কাঠালিয়া থেকে শোনপুর এলাকায় যাচ্ছিলেন। তখনই আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয়ে তাদের দেখে গালিগালাজ করে। তখনই এক রাউন্ড গুলি চলে বলে অভিযোগ।
ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। দুই শিবিরের মধ্যে কার্যত সংঘর্ষের আবহ তৈরি হয়। মুহূর্তেই খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই শিবিরের কর্মীদেরই সরিয়ে দেওয়া হয়। আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তারা সবটাই অস্বীকার করেছে। ঘটনার পর থেকেই চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। এলাকায় টহল দিচ্ছে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ।
এলাকার তৃণমূল নেতা আলিনূর মোল্লা বলেন, “আমরা ছাত্র-যুব সমাবেশের কাজের জন্য যাচ্ছিলাম। তখনই আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। নাটু, ক্ষুদ, সালাউদ্দিনের মতো সমাজবিরোধীরা এই কাজ করেছে। একাধিক থানায় ওদের বিরুদ্ধে কেস রয়েছে। সবার হাতে হাতিয়ার ছিল। এক রাউন্ড গুলিও চালায়। আমরা দ্রুত প্রশাসনকে জানাই। বিধায়ককেও জানিয়েছি। যতক্ষণ না ওরা গ্রেফতার হচ্ছে আমরা আন্দোলনের ডাক দেব। নওশাদ সিদ্দিকীর ইন্ধনেই ওরা আমাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল।” পাল্টা আইএসএফ নেতা ওহিদুল ইসলাম বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। ওরা নিজেরাই ঝামেলা করেছে। ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলে পাগলা কুকুর হয়ে গিয়েছে। ওদের জলাতঙ্ক হয়েছে।”