Kakdwip Body Recovered: ঘরের পিছনে বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে ঘৃণ্য আচরণ ছেলের! ছিঃ ছিঃ করছেন পড়শিরাই
Kakdwip Body Recovered: প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যেই মা ছেলের মধ্যে ঝামেলা হত। রূপক নেশাগ্রস্ত। নেশার জন্য টাকা চাইতেন। আর তা না পেলেই মারধর করতেন মাকে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বেশ কিছু দিন ধরেই বাড়ির কর্ত্রীকে দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। সঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না তাঁর ছোট ছেলেকেও। সন্দেহটা আগে থেকেই দানা বেঁধেছিল প্রতিবেশীদের মনে। নিজেদের মতো করে তাঁরা খোঁজ খবরও করেছিলেন। কিন্তু পাননি। পরে দু’দিন আগে থেকেই একটা বাজে গন্ধ নাকে আসছিল । বুধবার সকাল থেকে তা আরও প্রকট হয়। নিজেরাই গন্ধের উৎস সন্ধানে বের হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর ওই বৃদ্ধার বাড়িতেই সেপটিক ট্যাঙ্কের কাছে গিয়ে রীতিমতো শিউরে ওঠেন তাঁরা। পচাগলা অবস্থায় ওই ট্যাঙ্কের মধ্যেই উপুড় হয়ে পড়ে ছিলেন বৃদ্ধা। তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ছোটো ছেলের বিরুদ্ধেই। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানা এলাকায়। মৃতের নাম গীতা পট্টনায়েক (৬০)। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ছেলে রূপক পট্টনায়েক।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যেই মা ছেলের মধ্যে ঝামেলা হত। রূপক নেশাগ্রস্ত। নেশার জন্য টাকা চাইতেন। আর তা না পেলেই মারধর করতেন মাকে। অভিযোগ তেমনটাই। তিন চার দিন আগেও ওই বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি হয়েছিল বলে প্রতিবেশীরা জানান। গত তিন দিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না রূপকের।
গত রবিবার দিন বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন বৃদ্ধাও। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে খোঁজ নেন। কিন্তু পান নি। বুধবার সকালে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের পাশ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পরে থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্ক ভেঙে দেহটি উদ্ধার করে। অভিযুক্তের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।