Gangasagar: এগিয়ে এসেছে সমুদ্র, বড়সড় বিপদের মুখে কপিল মুনির আশ্রম!
Kapil muni ashram:আপৎকালীন ভিত্তিতে সাগরপাড়ের বাঁধ ও রাস্তা মেরামত করেই ২০২৫ গঙ্গাসাগর মেলা শেষ করেছে রাজ্য সরকার। তবে ভয়াবহ ভাঙনের কারণে বন্ধ রাখতে হয়েছিল ২ ও ৩ নম্বর স্নান ঘাট।

গঙ্গাসাগর: ফের ভাঙনের মুখে কপিলমুনির আশ্রম। তীব্র ভাঙনের মুখে কপিলমুনির মন্দিরের সামনের সাগর পাড়। পূর্ণিমার কোটালের জেরে রবিবার সকাল থেকে বঙ্গোপসাগরের বড় বড় ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে উপকূলের বাঁধে। নতুন করে ভাঙনের গ্রাসে এক নম্বর থেকে চাক নম্বর স্নানঘাটের রাস্তা পর্যন্ত সমুদ্রতট। তীব্র ভাঙনের জেরে কপিলমুনির মন্দিরের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার পথে। বলা ভাল বড় বিপদের মুখে কপিলমুনির আশ্রম।
আপৎকালীন ভিত্তিতে সাগরপাড়ের বাঁধ ও রাস্তা মেরামত করেই ২০২৫ গঙ্গাসাগর মেলা শেষ করেছে রাজ্য সরকার। তবে ভয়াবহ ভাঙনের কারণে বন্ধ রাখতে হয়েছিল ২ ও ৩ নম্বর স্নান ঘাট। যার কারণে ১,৫,এবং ৬ নম্বর ঘাটে স্নান সেরে অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করে কপিলমুনি মন্দিরে পৌঁছতে হয়েছিল পুণ্যার্থীদের।
এবার পূর্ণিমার কোটালে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে নতুন করে ভাঙছে কপিলমুনি আশ্রমের সামনে ১ থেকে ৪ নম্বর স্নান ঘাট পর্যন্ত উপকূলের তট সহ বাঁধ। ভাঙনের জেরে ক্রমেই কমছে কপিলমুনি আশ্রম থেকে সমুদ্রের দূরত্ব। সামনেই রয়েছে দুর্যোগের মরশুম,ফলে কপিলমুনি আশ্রম রক্ষা নিয়ে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত স্থায়ীভাবে সমুদ্র বাঁধ মেরামতের দাবি তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা অরুনাভ দাস বলেন, “এটা তো একটা নিত্য দিনের খবরের মতো। এই রাজ্য সরকার এই মেলার আগে কোটি কোটি বাজেট নিয়ে আসছে। তবে তৃণমূলের নেতারা তা চুরি করে নিচ্ছে।” স্থানীয় ব্যবসায়ী রবি দাস বলেন,”আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। কারণ আমরা তো নদী তীরবর্তী দোকানদার। জায়গা ছোট হয়ে গেলে দোকান পড়ে যাবে।”





