AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kunal Ghosh: ফলের রস খাইয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অনশন ভাঙালেন কুণাল ঘোষ

Job Seeker Agitation: ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১ হাজার ৮৩৪ জনের মধ্যে ১ হাজার ৫০৬ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও ৩২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রকাশ ও নিয়োগের দাবিতে গত সোমবার থেকে ডায়মন্ড হারবারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি লাগাতার অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা।

Kunal Ghosh: ফলের রস খাইয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অনশন ভাঙালেন কুণাল ঘোষ
চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কুণাল ঘোষ। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2024 | 1:23 PM
Share

ডায়মন্ড হারবার: দীর্ঘদিনের অপেক্ষা। অবশেষে চাকরি পাচ্ছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩২৮ জন চাকরি প্রার্থী। তবে এখনও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের (DPSC) অফিসের বাইরে ধরনায় চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ও অনশন তোলার আবেদন জানালেন কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার ডিপিএসসির সামনে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন কুণাল। তিনি বলেন, “আপনাদের আবেদন অনুযায়ী ৩৬৪ জনের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। পর্ষদ যখন একধাপ এগিয়েছে আপনাদেরও একধাপ এগোতে হবে। সরকার যখন ভাবনাচিন্তা করেছে তখন ধাপে ধাপে বাকি চাকরিপ্রার্থীদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে।” এদিন চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করার পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েকের সঙ্গেও দেখা করেন কুণাল।

অজিত নায়েক এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি বলেন, “৩১৪ জনের তালিকা আজ প্রকাশ হবে। অতিরিক্ত প্যানেল ৫০ জন। ৩৩৮ জনের নিয়োগপত্র আজ থেকে ছাড়া হবে। ৩৬৪ জনের তালিকা আজ প্রকাশ হবে এবং এরা প্রত্যেকেই চাকরি পাবেন।” ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১০ সালে জেলাভিত্তিক পরীক্ষা হয়। সে সময় টেট ছিল না। প্রাথমিকে চাকরির জন্য আবশ্যক ছিল না চাকরির প্রশিক্ষণও।

এরপর এ রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর টেট চালু হয়। অভিযোগ, সে সময় ২০০৯ সালের পরীক্ষা বাতিল করে দেয় রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালে লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি হয় ইন্টারভিউ। ২০০৯ সালের সেই পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। বহু লড়াইয়ের পর নিয়োগ পাচ্ছেন তাঁরা।

তবে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১ হাজার ৮৩৪ জনের মধ্যে ১ হাজার ৫০৬ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও ৩২৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রকাশ ও নিয়োগের দাবিতে গত সোমবার থেকে ডায়মন্ড হারবারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি লাগাতার অনশনে চাকরিপ্রার্থীরা। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে ১ হাজার ৫০৬ জনের তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

সোমবার রাতে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ তালিকার বাকি ৩২৮ জনের তালিকা আজ প্রকাশের পাশাপাশি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ৩২৮ জনের সঙ্গে অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ ও নন জয়েনিং মিলিয়ে ১০৪২ জনের নিয়োগের কথা ঘোষণা হলে তবেই অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন তোলা হবে। মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে অবস্থান মঞ্চে বিক্ষোভের পাশাপাশি অনশন কর্মসূচি জারি রাখেন চাকরিপ্রার্থীরা।

চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে এদিন ফের বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন কুণাল ঘোষ। প্রায় আধঘণ্টা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েককে অফিস থেকে ডেকে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে কথা বলান তিনি। এরপর চাকরিপ্রার্থীদেরকে ফলের রস খাইয়ে অনশন তোলান কুণাল।