Murder in Hotel : বকখালির হোটেল থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুর্গার বীভৎস দেহ, ৫ বছর পর ফাঁসির সাজা প্রেমিককে
Murder in Hotel : জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল রাতে এ ঘটনা ঘটেছিল। বকখালির হোটেলের ম্যানেজারই প্রথম ঘটনার কথা পুলিশকে জানিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
কাকদ্বীপ : বছর পাঁচেক আগে হোটেল (Murder in Hotel) থেকে উদ্ধার হয়েছিল গৃহবধূর মৃতদেহ। এ ঘটনায় প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত (Court)। দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ডের সাজা। ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল বকখালির একটি আবাসিক হোটেল থেকে নামখানার দ্বারিকনগরের বাসিন্দা ৩২ বছরের এক গৃহবধূর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগের তীর ছিল প্রেমিক সমর পাত্রের দিকে। জোরকদমে ঘটনার তদন্ত শুরু করে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ। ঘদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল সমর। দেড় মাস পরে নামখানা ফেরিঘাট থেকে সমরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলে বন্দি ছিল সে। বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় কাকদ্বীপের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে। এদিন বিচারক তপন মণ্ডল সমরের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন। এই আদালতের ইতিহাসে এটাই প্রথম ফাঁসির সাজা বলে জানা যাচ্ছে।
২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল রাতে এ ঘটনা ঘটেছিল। বকখালির হোটেলের ম্যানেজারই প্রথম ঘটনার কথা পুলিশকে জানিয়েছিলেন। দায়ের হয়েছিল এফআইআর। মৃতার পরিবারের অভিযোগ ছিল, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই গৃহবধূকে। ঠান্ডা মাথাতেই হোটেলে খুন করে সমীর। সমস্ত কথাই পুলিশের কাছেও জানান তাঁরা।
ঘটনায় আইনজীবী অমিতাভ রায় বলেন, “২০০৭ সালের কাকদ্বীপ আদালত গঠনের পর ফাঁসির অর্ডার হল। দারিকনগরের ৩২ বছরের এক মহিলাকে ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল বকখালির একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মৃত মহিলার নাম দুর্গা। ঘটনার পর জানালা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল সমর। ঘটনার দেড় মাস পর সে ধরা পড়ে। এ কেসে ১৮ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। ফরেনসিক টিমও নিজেদের মতো করে তদন্ত চালায়। আদালতে প্রচুর নথিও জমা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত সওয়াল জবাব শেষে এদিন অভিযুক্তের প্রাণদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করাও হয়েছে।”