Didir Doot: ‘এতদিনে লক্ষ্মীর ভান্ডার পেয়ে যেত ওরা…’, সবার সামনেই প্রধানকে ধমক ‘দিদির দূত’ উন্নয়ন মন্ত্রীর

Didir Suraksha Kavach: এরপর সকলের সামনেই তাঁদেরকে ধমক দেন মন্ত্রী। জানতে চান এত এলাকায় এত সমস্যা থাকার পরও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

Didir Doot: 'এতদিনে লক্ষ্মীর ভান্ডার পেয়ে যেত ওরা...', সবার সামনেই প্রধানকে ধমক 'দিদির দূত' উন্নয়ন মন্ত্রীর
দিদির দূতের ধমক খেলেন গ্রাম প্রধান (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 1:28 PM

সুন্দরবন: চলছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir suraksha kavach) কর্মসূচি। এলাকায়-এলাকায় পৌঁছছেন ‘দিদির দূত’-রা (Didir Doot)। সকলের অভাব-অভিযোগ শুনছেন তাঁরা। এবার এই কর্মসূচিতে গিয়ে মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের কথা শুনে গ্রামবাসীদের সামনেই ডেকে পাঠালেন স্থানীয় ফ্রেজারগঞ্জের পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে। এরপর সকলের সামনেই তাঁদেরকে ধমক দেন মন্ত্রী। জানতে চান এত এলাকায় এত সমস্যা থাকার পরও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জ এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগ দেন স্থানীয় বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সকালে বকখালি পর্যটন কেন্দ্রে নিজে ঝাঁটা হাতে সাফাই অভিযানে নামেন মন্ত্রী। তারপর পৌঁছন বিজয়বাটি গ্রামে। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে রাস্তা, পানীয়জল, ক্যালভার্টের বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি আবেদন করেও তফশিলি জাতি, উপজাতি শংসাপত্র পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।

এরপরই পঞ্চায়েত প্রধান গৌতম প্রামাণিক ও অঞ্চল সভাপতি নীলকন্ঠ বর্মণকে ডেকে পাঠান মন্ত্রী। কাজ কেন হয়নি জানতে চান তিনি। এরপর নীলকন্ঠবাবুকে প্রশ্ন করেন, “ওনারা দুয়ারে সরকারের জন্য সার্টিফিকেট চেয়েছেন আপনি করছেন কী? সার্টিফিকেট দিয়ে দিলে ওনারা তো লক্ষ্মীর ভান্ডারের সঙ্গে এটা মিলিয়ে ১০০০ টাকা পেয়ে যান। তফশিলি জনজাতিরা এখনও লক্ষ্মীর ভান্ডার পর্যন্ত পাননি।” মন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে অঞ্চল সভাপতি বলেন, “সার্টিফিকেট সব পাঠিয়ে দিয়েছি” তখনই ধমক দিয়ে বঙ্কিমবাবু বলেন, “শুধু পাঠালেই হবে? আরে মনিটারিং করেননি কেন? আজ জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ। নিয়ম মাফিক পনেরো দিনের মধ্যে এদের তফশিলি জাতি-উপজাতির শংসাপত্র পাওয়া উচিত। তাহলে হচ্ছে না কেন? এগুলো অন্যায়।”

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী। বলেন, “অনেকেই পেয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। কেউ কেউ হয়ত পাননি। তাদের জন্য আমি নির্দেশ দিয়ে এসেছি।” অপরদিকে, পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতি জানিয়েছেন মন্ত্রী যা নির্দেশ দিয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ করব।