Hospital: মেলেনি বেড! বাইরেই পড়ে আছে মুমূর্ষ রোগী, সব দেখেও চোখ ‘বন্ধ’ হাসপাতালের?
Hospital: প্রশান্ত রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন, “ওই মহিলাকে অনেকদিন থেকেই এলাকার নানা জায়গায় বসে থাকতে দেখেছি। শরীর একদমই ভাল নয়। এখন হাসপাতালে আনা হয়েছে। কিন্তু, হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসা তো করা দরকার!”

বারুইপুর: শরীরে অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু, জায়গা হয়নি হাসপাতালে। উল্টে মুমূর্ষ রোগী পড়ে আছে নির্মীয়মান ভবনের সিঁড়ির নিচে। অভিযোগ, সব দেখেও চোখ ‘বন্ধ’ হাসপাতালের। মুখই নাকি খুলতে চাইছেন না হাসপাতালের কর্মীরা। এমনই অমানবিক ছবি দেখা গেল বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে। এদিকে রোগীর কথা বলার শক্তিটুকুও নেই। পাশেই পড়ে রয়েছে নোংরা চাদর, নোংরা কাপড়।
এর আগেও এর আগেও এক অসহায় অসুস্থ পথচারীকে এভাবে ‘বিনা চিকিৎসায়’ ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছিল এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই। ফের কার্যত একই ছবি দেখা যাওয়ায় শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর।
যদিও হাসপাতালের ফ্যাকাল্টি ম্যানেজার শ্যামল চক্রবর্তী দিচ্ছেন অন্য যুক্তি। তাঁর দাবি তাঁরা ওই রোগীকে ফেলে রাখেননি। ফেলে চলে গিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা। তাঁর কথায়, “আমরা ওই জায়গায় রোগীকে ফেলে রাখিনি। বাড়ির লোক ফেলে রেখে দিয়েছিল। বিষয়টি জেনেই ব্যবস্থা নিয়ে তাঁকে ভিতরে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাও শুরু হয়েছে।” তবে আগেও ‘অব্যবস্থার’ জেরে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ প্রসঙ্গ উঠলে তাঁর সাফ কথা, “এরকম কিছু জানা নেই।”
প্রশান্ত রায় নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন, “ওই মহিলাকে অনেকদিন থেকেই এলাকার নানা জায়গায় বসে থাকতে দেখেছি। শরীর একদমই ভাল নয়। এখন হাসপাতালে আনা হয়েছে। কিন্তু, হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসা তো করা দরকার! একই মত অন্যান্য রোগীর পরিজনদেরও। তবে ক্যামেরার সামনে বিশেষ কেউ মুখ খুলতে চাননি।”
