Champahati: চম্পাহাটিতে বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, রাতারাতি আকাশ ভেঙে পড়ল হাজার হাজার মানুষের মাথায়
Champahati: সোমবার বিকেলে বারুইপুর চাম্পাহাটি-হাড়াল আতশবাজি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে কড়া নির্দেশ দেন এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও আইসি বারুইপুর সৌমজিৎ রায়।
চম্পাহাটি: বাজি তৈরি হোক বা বিক্রি দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটিকে কে না চেনে। তবে এবার সেখানেই বাজি তৈরি বা বিক্রিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল পুলিশ। চম্পাটির হাড়ালে আগামী দু’মাস কোনও রকম বাজি তৈরি বা বিক্রি করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারুইপুর জেলা পুলিশ। এগরা-বজবজ-মালদা! একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ গিয়েছে অনেকের। নবান্নর তরফে বেআইনি বাজির কারখানা বন্ধ করতে কড়া নির্দেশিকা জারিও করা হয়েছে। সেই মতো তৎপর হয়েছে পুলিশ। জেলায়-জেলায় চলছে ধরপাকড়।
সোমবার বিকেলে বারুইপুর চাম্পাহাটি-হাড়াল আতশবাজি অ্যাসোসিয়েশনের অফিসে কড়া নির্দেশ দেন এসডিপিও বারুইপুর অতীশ বিশ্বাস ও আইসি বারুইপুর সৌমজিৎ রায়। শুধু তাই নয়, পুলিশের পক্ষ থেকে এসডিপিও বারইপুর ও আইসি বারুইপুরের নেতৃত্বে চলে লাগাতার অভিযানও। সেই অভিযানের জেরে বারো হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, চাম্পাহাটি হারালে প্রায় তিরিশ হাজার মানুষ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। গতকাল বিকেলর পর থেকেই পুরোপুরি ভাবে প্রায় দেড়শোটি দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের বার্তা মেনে দোকান,ব্যবসা বন্ধ রেখে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে এলাকায় চলছে পুলিশের লাগাতার মাইক প্রচার।
মৃদুল দেবনাথ নামে এক বাজি ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা পুলিশকে সহযোগিতা করব। আমরা দু’মাস বন্ধ রাখব কাজ। পুলিশ যতদিন না অনুমতি দিচ্ছে ততদিন অবধি দোকান বন্ধ রাখা হবে।” চম্পাহাটির আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক অর্জুন মণ্ডল বলেন, “পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমরা পুলিশকে পূর্ণ সহযোগিতা করছি।” বারুইপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি শ্যামাসুন্দর চক্রবর্তী বলেন, “একটা বিধিবদ্ধ ব্যবস্থার মধ্যে আনার চেষ্টা হচ্ছে। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সাময়িক একটা ব্যবস্থা থাকবেই। আবার মানুষের রুজি-রুটিরও ব্যাপার রয়েছে।মাথা ঠান্ডা করে গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।” বারুইপুরের সিপিএম নেতা লাহেক আলি বলেন,”বাজি কারখানাকে বৈধ ভাবে চালানোর দায়িত্ব সরকারের। তা করতে তারা ব্যর্থ।”