Corona Virus: সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক পরুন বারবার সতর্ক করছে পুলিশ, আর না পরলে?
South 24 pargna: এবার অনুরোধের পালা শেষ। কঠোর হওয়ার সময় জানাচ্ছেন পুলিশ কর্তারা
কুলতলি: ইতিমধ্যে রাজ্যে নয় হাজার ছাড়িয়েছে সংক্রমণ। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় হু-হু করে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনাকে রুখতে যথেষ্ঠ তৎপর হয়েছে প্রশাসন। লাঘু হয়েছে আংশিক লকডাউন। ইতিমধ্যে কড়া মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে প্রশাসন। বারবার সচেতন করা হয়েছে নাগরিকদের। কিন্তু এরপরও এক শ্রেণির মানুষের কানে যেন কথা পৌঁছচ্ছে না। বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা।
সেই কারণে হাল ধরতে এবার পথে নেমেছে পুলিশ। কড়া মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে প্রশাসন। করোনা স্বাস্থ্য বিধি না মানায় এবার প্রকাশ্য রাস্তায় কান ধরে ওঠবস করালো কুলতলি থানার পুলিশ। কুলতলির প্রাণকেন্দ্র জামতলা বাজারে বিগত তিনদিন ধরে অবিরাম চলছে মাস্ক পরা ও করোনা সম্পর্কিত মাইকিং। পুলিশ এলাকায় এলাকায় গিয়েও মাইকিং করেছেন।
কিন্তু কে কার কথা শোনে। সবাইকেই মাস্ক পরেই বাইরে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল পুলিশ। সেই অনুরোধের পালা শেষ। এবার মাস্ক না পরলেই শাস্তি। সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করল কুলতলি থানার পুলিশ। বুধবার থেকে চালানো অভিযানে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে। এছাড়াও মাস্ক না পরায় রাস্তায় প্রকাশ্যে রাস্তায় কান ধরে উঠবস করানো হয় বেশ কয়েকজনকে। জামতলা বাজারে সেই ওঠবোস করানো দেখেই মুখে পটাপট মাস্ক পরতে থাকে নিয়ম ভাঙা পাবলিক।
প্রসঙ্গত কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪ হাজারের বেশি মানুষ। এরপরই রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে দৈনিক ৫২৫ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এদিকে শিয়ালদহে লাইনে পাত তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যাত্রীরা। ফার্স্ট ট্রেন না চলার প্রতিবাদে বুধবার ভোর রাত থেকে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নিত্যযাত্রীরা। বুধবার সকালেই শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ক্যানিং লাইনের তালদি স্টেশনে লাইনের ওপর তুলে দেওয়ার হয় লোহার পাত। ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন হাজার খানেক মানুষ। সাতসকালেই নিত্যযাত্রীদের বিক্ষোভে ব্যাহত হয় শিয়ালদা-ক্যানিং লাইনের ট্রেন চলাচল।সম্পূর্ণ ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ক্যানিং লাইনের ট্রেন চলাচল। অভিযোগ, ক্যানিং থেকে শিয়ালদাগামী প্রথম আপ ট্রেন ৩:৫২ মিনিটে ছাড়ে। সেই ট্রেন না চলার কারণে বহু মানুষ নিজেদের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। এই কারণেই বুধবার সকাল থেকেই একেবারে রেললাইনের ওপর লোহার পাত তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নিত্যযাত্রীরা।
হাজার খানেক যাত্রী রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সম্পূর্ণ ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ক্যানিং লাইনের ট্রেন চলাচল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জিআরপি ও আরপিএফ বাহিনী।
আরও পড়ুন: TMC worker died: এসএসকেএমে মৃত্যু ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর, তুঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপ