দক্ষিণ ২৪ পরগনা: লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন! ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং ফ্লোরে তখন চরম ব্যস্ততা। আচমকাই ঢুকে পড়েন কয়েকজন। তারপর ভাঙচুর চালিয়ে শ্যুটিং বন্ধ করে ৩ ডিরেক্টরকে তুলে নিয়ে যান। অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা বারুইপুরে (Baruipur)।
বারুইপুরের একটি নার্সিংহোমে মুক্তি প্রোডাকশন হাউজ়ের একটি ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং চলছিল। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় কাজ। অভিযোগ, সেই সময় গিল্ডের প্রতিনিধি দলের পরিচয় দিয়ে শ্যুটিং বন্ধ করার চেষ্টা করেন বেশ কয়েকজন। সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ তাঁরা শ্যুটিংয়ের মাঝেই ঢুকে পড়েন।
বিকেলে আরও কুড়ি-পঁচিশ জন সেখানে পৌঁছে যান। ফ্লোরের কর্মীদের অভিযোগ, অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই নিজেদের গিল্ডের সদস্য বলে পরিচয় দেন। জোর করে শ্যুটিং বন্ধ করে দিয়ে বেশ কিছু জিনিসপত্র সেখান থেকে নিয়ে যান। বেশ কিছু কস্টিউম ও মেকআপের জিনিসপত্র হঠাত্ তাঁরা তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ।
ওয়েব সিরিজের ডিরেক্টর প্রান্তিক গায়েন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জয় শঙ্কর চক্রবর্তী ও জয়ন্ত মাইতি নামে আরও একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কে একটি গাড়ি করে তুলে নিয়ে যান। মুক্তি প্রোডাকশনের কর্তা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারুইপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তাঁর অভিযোগ, মুক্তি প্রোডাকশনের ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং চলাকালীন বেশ কিছু লোক গিয়ে গিল্ডের প্রতিনিধিপরিচয় দিয়ে জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন। পাশাপাশি তিনজন ডিরেক্টরকে তুলে নিয়ে যান। কোথায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমরা ৩০ জন লোক নিয়ে কাজ করছিলাম। ওঁরা প্রত্যেকেই মাসিক বেতনের ভিত্তিতে কাজ করছিলেন। কেউ ফ্রিলান্সার নন। তাঁদের সঙ্গে ফোনে বারবার করে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল এসে কথা হবে। তারপর এসেই লুঠপাট করে।” তবে অভিযুক্তরা পূর্ব পরিচিত বলেই পুলিশ মনে করছে। বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আরও পড়ুন: হাবড়ায় গণনায় কারচুপি! এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল সিনহা