দক্ষিণ ২৪ পরগনা: একেই বলে রাখে হরি মারে কে। ভাগ্যিস মিষ্টি কিনবেন বলে অটো থেকে নেমে গিয়েছিলেন। আর যাত্রীদের নামতে দেখে অটো থেকে নেমে দাঁড়ান চালকও। সে কারণেই বেঁচে গেল এতগুলো প্রাণ। সোমবার রাতে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা ঘটে জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসত গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। লরির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় অটোটি। অটোর ভিতরে সে সময় কেউ থাকলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে একটি অটো রিজার্ভ করে চারজন যাত্রী বিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। মাঝ রাস্তায় মিষ্টি কিনবেন বলে অটো থেকে দু’জন নেমে পড়েন। তাঁদের দেখাদেখি বাকি দু’জনও নামেন। এদিকে যাত্রীদের কিছুটা সময় লাগবে বুঝে অটোর যিনি চালক ছিলেন তিনিও গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা দূরে দাঁড়ান।
হঠাৎই নিকষ কালো শীতের রাতে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসে একটি লরি। স্থানীয়দের অভিযোগ, লরিটির গতি এতটাই বেশি ছিল, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। হুড়মুড়িয়ে গিয়ে সেই লরি উঠে পড়ে অটোটির উপর। মুহূর্তে একেবারে তুবড়ে যায় সেটি। শুধু তুবড়ে যায় বললেও কম বলা হবে, একেবারেই ভেঙে গিয়েছে অটোটি। বরাত জোরে রক্ষা পান অটো চালক ও বিয়ে বাড়ির যাত্রীরা।
স্থানীয়রা জানান, এদিন রাতে গোচারণের দিক থেকে একটি অটো বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য জয়নগরের দিকে আসছিল। কুলপি রোডের ধারে ফুলতলা মোড়ের কাছে আসতেই মিষ্টি কিনতে সবাই অটো থেকে নেমে পড়েন। যাত্রীরা নামতেই অটো থেকে নামেন চালকও। ঠিক সেই সময় আচমকাই একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একেবারে রাস্তার ধারে থাকা অটোটিকে ধাক্কা মেরে এক প্রকার পিষে দেয়।
বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। অটোর যাত্রীরাও ঘাবড়ে ছুটে আসেন। রাস্তায় যাঁরা ছিলেন ছুটোছুটি শুরু করে দেন। আওয়াজ পেয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। এরপরই লরির চালক ও খালাসিকে একটি ঘরে আটকে রেখে দেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় জয়নগর থানায়। এরপর পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই দু’জনে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় রাতে ওই রাস্তায় সাময়িক যানজট পরিস্থিতি হয়।
আরও পড়ুন: BJP Protest: আজ থেকে সিঙ্গুরে বিজেপির ধরনা; ‘অবস্থান হবেই’, হুঁশিয়ারি দিলীপের