দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ট্রেন না চললে কাজে যাবো কীভাবে? খাবো কী? অবিলম্বের সব ট্রেন (Local Train) চালাতে হবে! এবার এই দাবিতেই লাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন সাধারণ যাত্রীরা। বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল সোনারপুর স্টেশন (Sonarpur Station)। সকালে স্টেশনে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন পৌঁছতেই, তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন যাত্রীরা।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের মারাত্মক সংক্রমণ রুখতে ট্রেন-বাস-সহ গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। তবে এখন কার্যত লকডাউনে কিছুটা হলেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করার কথা বলা হয়েছে। ধীরে ধীরে খুলছে দোকানপাট, ছোট কাজকর্মগুলিও সক্রিয় হচ্ছে। কিন্তু বন্ধ ট্রেন-বাস! বেকায়দায় নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ যাত্রীরা।
যাত্রীদের একাংশের কথায়, কাজে যেতে গেলে গাড়ি ভাড়া যা বেরিয়ে যাচ্ছে, তা রোজের টাকার দ্বিগুণ! এই পরিস্থিতিতে নিম্ন মধ্যবিত্তদের অধিকাংশর নুন আনতে পানতা ফুরনোর অবস্থা। অনেকেই সক্কাল সক্কাল রেলের স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠে পড়ার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু তাতেও ধরা পড়ে যাচ্ছিলেন রেলপুলিশ কর্তাদের হাতেই। অগত্যা দিশেহারা আম জনতা।
আরও পড়ুন: পদ্ম শিবিরে কৈলাস-কাঁটা! রাজ্য বিজেপির বৈঠকেও অনুপস্থিতি নিয়ে জোর জল্পনা
বুধবার সকালে ঠিক এই কারণেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সোনারপুর স্টেশন। যাত্রীদের দাবি, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার প্রত্যেক ট্রেন যাতে চালানো হয়। এটা তাঁদের রুজিরুটির প্রশ্ন। তাঁরা কাজে যেতে পারছেন না, তাঁদের কলকাতা যাওয়ার জন্য ভরসা ট্রেনই। বিক্ষোভ সামলাতে পৌঁছন রেল পুলিশের আধিকারিকরা। যাত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন তাঁরা। পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করেন। পাল্টা নিজেদের অবস্থা তুলে ধরেন যাত্রীরাও। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে পথ খোঁজার চেষ্টা চলছে।