দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গঙ্গাসাগর মেলার পরিষেবা প্রদানের শুভ সূচনা। কলকাতা হাইকোর্টের শর্তসাপেক্ষ ছাড়পত্র পাওয়ার পর তৎপরতা তুঙ্গে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবস্থাপনায় কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। আজ সন্ধে নাগাদ প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।
কী কী প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন?
সূত্রের খবর, কপিলমুনির মন্দির চত্বরে ঢোকার আগেই করা হচ্ছে থার্মাল চেকিং। সচেতনতা প্রচারে তৈরি করা হয়েছে ম্যাসকট। মাস্ক ছাড়া কোনও পুন্যার্থীকে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মাস্কের পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের হাতে দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজ়ার।
সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে আগেই ১০০ বেডের কোভিড চিকিৎসার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে মেলা শুরুর আগেই সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে একশোটি কোভিড বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে অক্সিজেন প্ল্যান্টও চালু করা হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে ৫৫ টি বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫ বেডের সিসিইউ ও ৫ বেডের আইসিইউ রাখা হয়েছে। সেখানে পরিষেবা দেওয়ার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা সজাগ থাকবেন। এছাড়াও ৫ বেডের এইচডিইউতে শিশুদের ভর্তি রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অস্থায়ী হাসপাতলের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সিলেন্ডারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও আলাদা করে কোয়ারান্টিন সেন্টার ও সেফহোম খোলা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, চেক পয়েন্টগুলিতে পুণ্যার্থীদের শারীরিক অসুস্থতা ধরা পড়লে কোভিড টেস্টেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কচুবেড়িয়া ঘাটে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজ়ার ট্যানেল। দু’ঘন্টা অন্তর প্রত্যেকটি ভেসেল ও জেটিঘাট চত্বরে স্বেচ্ছাসেবকরা জীবাণুনাশকের কাজ চালাবেন। পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে অসুস্থ রোগীদের দ্রুত কলকাতার হাসপাতলে পৌঁছাতে একটি এয়ারক্র্যাফ্টেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
কিন্তু এতকিছুর পরও চিন্তা কিন্তু কমছে না। মেলার স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেক চিকিৎসক ইতিমধ্যেই কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের ২৫ জন চিকিৎসকের সাগরমেলার হাসপাতালে ডিউটি করার কথা ছিল। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের ৪৫ জন চিকিৎসক একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত। ফলে হাসপাতালের পরিষেবা চালু রাখাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল কলেজের কোন চিকিৎসক ছাড়া যাবে না বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ উৎপল দাঁ।