Diamond Harbour: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ভর সন্ধেয় চলল গুলি, রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে তৃণমূল কর্মী
Diamond Harbour: খুব কাছ থেকে বিশাল নামে ওই তৃণমূলকর্মীকে গুলি করা হয়। পরপর তিনটি গুলি চালানো হলেও একটি গুলি বিশালের পায়ে লাগে।
ডায়মন্ড হারবার : তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসার জেরে শুক্রবার সন্ধেয় চলল পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি। ডায়মন্ড হারবার পুরসভার পাশে রেল কলোনি ডোমপাড়ার ঘটনা। গুলিবিদ্ধ হলেন যুব তৃণমূল কর্মী বিশাল খেয়ারি। খুব কাছ থেকে বিশালকে গুলি করা হয়। পরপর তিনটি গুলি চালানো হলেও একটি গুলি বিশালের পায়ে লাগে। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা বিশালকে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ দিন এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ডায়মন্ড হারবার শহর জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার থানার এসডিপিও মিতুন দে, আইসি গৌতম মিত্র সহ বিশাল বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশাল খেয়ারি নামে ওই তৃণমূল কর্মী পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এলাকায় জনপ্রিয় ফুটবলার হিসেবে পরিচিত বিশাল।
গ্রেফতার করা হয়েছে, সৌরিশ দে, বুদ্ধদেব চিত্রকর ওরফে ডোঙা ও রাজেশ পান্ডেকে। প্রত্যেকেই ডায়মন্ড হারবার পুরসভা এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, এ দিন স্থানীয় ক্লাবে পিকনিক চলছিল। সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। এ দিন সন্ধে নাগাদ বিশাল খেয়ারি তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাবের পাশের রাস্তা দিয়ে বাজারে যাচ্ছিল। সেই সময় বুদ্ধদেব ও সৌরিশ তাদের পথ আটকায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বচসার মধ্যে আচমকা বুদ্ধদেব পিস্তল বের করে বিশালকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। তবে কী কারণে গুলি চলল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দুই গোষ্ঠীর লোকই তৃণমূলের কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এলাকা দখল নিয়ে বুদ্ধদেব ও বিশালের মধ্যে বেশ কয়েক মাস ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল বলে জানা গিয়েছে। এমনকি তাদের দুই পরিবারের মধ্যেও মিল ছিল না।
এ দিনের ঘটনার পর শহরের তৃনমূল নেতৃত্ব হাসপাতালের সামনে ভিড় জমায়। ঘটনার পরই ক্ষিপ্ত বাসিন্দারা বুদ্ধদেবের বাড়ি সহ ক্লাব ঘরে ভাঙচুর চালায়। হাতেনাতে ধরে ফেলে বিশাল ও সৌরিশকে। তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূলের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরেই এই ক্লাব ঘরের মধ্যে মদ, গাজা ও জুয়া থেকে শুরু করে নানা রকম অসামাজিক কাজকর্ম চলত। একাধিকবার এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ করায় বিশাল ও সৌরিশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনও নির্বিকার ছিল বলে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ। তবে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল নেতা প্রণব দাস জানান, ‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই গুলি চলার ঘটনা ঘটেছে।’