AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sonarpur TMC: বিয়ের চাপে ‘ঘরবন্দি’ তৃণমূল কাউন্সিলর, যুব নেতা তবু বলছেন ‘আমার হবু স্ত্রী’

TMC Councillor: পাপিয়া হালদারের অভিযোগ, যাবতীয় হুমকি উপেক্ষা করে যখন তিনি ওয়ার্ড কার্যালয়ে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বললেন, "আমাকে বলা হয়েছে, প্রতীকদার বারণ আছে। তোমাকে কোনও পরিষেবা দিতে হবে না। ঘরবন্দি হয়ে যাও।"

Sonarpur TMC: বিয়ের চাপে 'ঘরবন্দি' তৃণমূল কাউন্সিলর, যুব নেতা তবু বলছেন 'আমার হবু স্ত্রী'
কাউন্সিলরের ফেসবুক পেজ থেকে পাওয়া ছবিImage Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Dec 16, 2023 | 3:42 PM
Share

সোনারপুর: রাজপুর-সোনারপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলেছেন দলেরই এক যুব নেতার বিরুদ্ধে। প্রতীক দে নামে ওই যুব নেতা নাকি তাঁকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই বিভিন্নভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। থানায় নালিশও জানিয়েছেন। কাউন্সিলরের অভিযোগ, তাঁকে এলাকায় কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পাপিয়া হালদারের অভিযোগ, যাবতীয় হুমকি উপেক্ষা করে যখন তিনি ওয়ার্ড কার্যালয়ে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বললেন, “আমাকে বলা হয়েছে, প্রতীকদার বারণ আছে। তোমাকে কোনও পরিষেবা দিতে হবে না। ঘরবন্দি হয়ে যাও।”

টিভি নাইন বাংলাকে কাউন্সিলর জানালেন, “বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল, ওয়ার্ডে টিকতে দেবে না। বলা হচ্ছে, আমাকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ, সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু আমি নাকচ করে দিয়েছিলাম। সবার কাছে দাবি করা হচ্ছে, কাউন্সিলরকে আমাকে বিয়ে করতে হবে, নয়তো কাউন্সিলর পদত্যাগ করুক।” কাউন্সিলরের সাফ বক্তব্য, যদি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যোগ থাকার ছোট্ট প্রমাণও দেখাতে পারেন, তাহলে আমি এমনিই পদত্যাগ করব।

এদিকে আবার পাল্টা দিয়েছেন যুব নেতা প্রতীক দে। কাউন্সিলরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে যুব নেতার দাবি, পাপিয়া হালদার যদি ওয়ার্ড অফিসে বসতে চান, তাহলে তিনি নিজে সেই ব্যবস্থা করে দেবেন। যুব নেতা প্রতীক দে বলেন, “২০১৬ সাল থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল। এখন যদি উনি অস্বীকার করেন, তো করতেই পারেন। কিন্তু সত্যিটা সকলে জানেন। ২০০০ সাল থেকে আমার রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, প্রত্যেকের সঙ্গে আমার হবু স্ত্রী বলেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম।”