Basanti TMC Clash: চন্দ্রিমা যেতেই তুলকালাম বাসন্তী, গ্রেফতারের দাবি জানালেন বিধায়ক
Basanti: সূত্রের খবর, গতকাল রবিবার বাসন্তী বিধানসভার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের ডাকে জনসভা হয়। আর সেই সভা ডাকা হয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তী ও সুকান্ত মজুমদারদের পাল্টা সভা হিসাবে ।
বাসন্তী: ফের উত্তপ্ত বাসন্তী (Basanti)। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই এলাকা। গোটা ঘনায় আহত একজন। ইতিমধ্যে পুলিশ আটক করেছে একজনকে। বাসন্তী বিধানসভার কলতলা এলাকায় গতকাল (রবিবার) তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে জনসভা একটি জনসভা হয়। এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। গতকাল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের বিরোধীরা । গতকালের সেই জনসভার পর আজ সোমবার সকালে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাসন্তী। যুব তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ মাদার তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় এক যুব তৃণমূল কর্মী। আহত তৃণমূল কর্মীর নাম জয়নুদ্দিন মণ্ডল। আহত ওই তৃণমূল কর্মীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, গতকাল রবিবার বাসন্তী বিধানসভার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের ডাকে জনসভা হয়। মিঠুন চক্রবর্তী ও সুকান্ত মজুমদারদের পাল্টা সভা হিসাবে তৃণমূলের এই সভা বলে মনে করা হয়। জনসভায় না যাওয়ার কারণে, এবং মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে অভিযোগ জানানোর কারণে যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের দলবলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। এ দিনের মারামারির ঘটনায় উভয়পক্ষ আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
এই বিষয়ে বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “আজ সকালবেলায় একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনীতি বা তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ব্যক্তিগত বিবাদের জেরে ঘটেছে। আমি পুলিশকে অনুরোধ করেছি যাঁরা এই কাজ করছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।”
উল্লেখ্য, রবিবার যখন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের গাড়ি বাসন্তীর কলতলা মোড়ে ঢোকে ঠিক সেই সময় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বুলা নাসরিন লস্কর প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ এলাকার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল একপ্রকার বিভাজনের রাজনীতি করছেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি। গোষ্ঠী কোন্দল তৈরি করছেন। যার জেরে সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরও কাটেনি সেই রেষ। তারপর ফের শুরু হয় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল।