TMC Leader Beating: প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে মারধর মহিলার, অভিযুক্ত বললেন, ‘জেলে ছিলাম টাকা নিইনি’

ফ্রেজারগঞ্জ: তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে মারধর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েতের কয়লাঘাটা এলাকায়। অভিযোগ, রাস্তার মধ্যে তৃণমূল ওই নেতাকে রীতিমত টানা হ্যাঁচড়া করার পাশাপাশি চড় মারতে থাকেন প্রতারিত মহিলা।

কী ঘটেছে?

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা স্বপন দাসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন নুপুর হাজরা। তাঁর দাবি, স্বপন দাস বহু মানুষের কাছ থেকে চাকরি সহ সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার হাজার টাকা নিয়েছেন। সেই নিয়ে প্রতারিত মহিলা তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার কাছেও অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। নুপুরদেবীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী মারা যাওয়ায় কখনও ছেলেমেয়েকে চাকরি, কখনও রেশন কার্ড করে দেওয়ার নামে ধাপে-ধাপে প্রায় তিরিশ হাজার টাকা নিয়েছেন।

তবে অভিযুক্ত স্বপনবাবু টাকা নেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন,গাড়ি কেনা-‌বেচা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল। ওই ব্যক্তি বলেন, “আমি ওই ভদ্রমহিলার কাছে গাড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু তার কাগজ পত্র বৈধ ছিল না। তাই নিয়ে কেস চলছে কাকদ্বীপ আদালতে। আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় আমি ডায়মন্ডহারবার জেলে ছিলাম। তাহলে তখন টাকা নিলাম কী করে? সবটাই মিথ্যা কথা।” অপরদিকে, নুপুর দেবী বলেন, “আমার কাছ থেকে হাজার তিরিশ টাকা নিয়েছে। এখন আর তা ফেরত দিচ্ছে না। বারংবার ঘুরচ্ছে। আজ বলছে চাকরি দেব। কাল চাকরি দেব বলছে। আমি চাকা চাইতে গেলে আমায় মারধর করছে। ওর স্ত্রী আমায় অপমান করছে। তাই উনি যখন টাকা দেয়নি তখন আমি বলেছি মেরে টাকা পাওনা টাকা আদায় করব।”

জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কয়লাঘাটা বুথের তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন স্বপন। কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।