
বাসন্তী: জেলায় জেলায় শিবির করেছে তৃণমূল। এসআইআর আবহে তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়কদের রীতিমতো সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সদ্য় হয়ে যাওয়া বৈঠক থেকে। এরই মধ্যে বিধায়কের গলায় সরাসরি হুমকির সুর। হাত ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিএলও-কে।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের অন্তর্গত ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ভোটরক্ষা শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। সেখান থেকেই বিএলও-দের হাত ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বিধায়ক এদিন বলেন, “যদি কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে প্রথমে বিএলও-কে বোঝানো হবে। তিনি না বুঝলে প্রয়োজনে তার হাত ভেঙে দিতে হবে।” আর বিধায়ক এ কথা বলামাত্রই উপস্থিত তৃণমূলকর্মীরা হাততালির ঝড় তোলেন।
বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও তৃণমূল বিধায়ককে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার কটাক্ষ করে ‘বহিরাগত’ বলেন শ্যামল মণ্ডলকে। তিনি বলেন, “একজন বিএলও-র গায়ে হাত দিয়ে দেখান। বারবার সরকারি অফিসারদের বাধা দিলে, শ্যামল মণ্ডলকে ক্যানিং থেকে বের করে দেবে বিজেপি।”
উল্লেখ্য, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এসআইআর সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কমিশনের তরফ থেকে বলা হয় যে, ‘রাজনৈতিক দলের লোকেরা বেশি চাপ তৈরি করছে বিএলও-দের উপর।’ অন্যদিকে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “বাস্তব ছবিটা একেবারেই আলাদা। বিএলও-দের উপর এত চাপ যে তাঁরা আত্মহত্যা করছেন। পশ্চিমবঙ্গে ২৩ জন মারা গিয়েছেন চাপে।” এদিন এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
তৃণমূল শুরু থেকেই এসআইআর-এর বিরোধিতা করেছে তৃণমূল। সম্প্রতি মতুয়াগড় ঠাকুরনগরে গিয়েও এসআইআর-এর বিপক্ষে সওয়াল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।