TMCP: প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে দিয়ে মাথা টেপানোর অভিযোগ, সোনারপুর কলেজে ৪৪ বছরের ছাত্রনেতার দাপাদাপি!
TMCP: যদিও এই ভিডিয়ো সম্পর্কে প্রতীক দে TV9 বাংলাকে জানান, "আমি তো এরকম কিছু জানি না। ভুল তথ্য পরিবেশন হচ্ছে। বিকৃত করা হচ্ছে। ভিডিয়োটা পুরো এডিট করা। দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে।"

কলকাতা: এবার প্রকাশ্যে সোনারপুর কলেজের ‘দাদার’ কুকীর্তি! ক্যাম্পাসে ৪৪ বছরের ছাত্রনেতার দাপাদাপির অভিযোগ। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে দিয়ে মাথা টেপাচ্ছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রতীক কুমার দে। রাজপুর টাউন যুব কংগ্রেসের সভাপতিও তিনি। বারুইপুর কলেজের প্রাক্তনী হয়েও সোনারপুর কলেজে ‘দাদাগিরি’ প্রতীকের! একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে সে ছবি। প্রতীককে সোনারপুর কলেজের টিএমসিপি-র কো অর্ডিনেটর হিসাবে নিয়োগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্র, এমনটাই সূত্রের খবর। প্রতীকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে তৃণমূলেরই কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার।
যদিও এই ভিডিয়ো সম্পর্কে প্রতীক দে TV9 বাংলাকে জানান, “আমি তো এরকম কিছু জানি না। ভুল তথ্য পরিবেশন হচ্ছে। বিকৃত করা হচ্ছে। ভিডিয়োটা পুরো এডিট করা। দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে।”
সোনাপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার বলেন, “আমি ভিডিয়োটা অনেকবারই দেখেছি। ওটা যে AI ভিডিয়ো নয়, সেটা বুঝতে গেলে ভিডিয়ো এডিটর হওয়ার প্রয়োজন নেই। দল জানতে পেরেছে। দলকে জানানো হয়েছে। আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি দল সিদ্ধান্ত নেবে।”
জানা যাচ্ছে, প্রতীক দে তৃণমূল বিধায়ক লাভলি মৈত্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। প্রতীকের এলাকাতেও রাজনৈতিক হাত অত্যন্ত পোক্ত বলে জানা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই সোনারপুর কলেজের কো অর্ডিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পান প্রতীক দে। তারপরই কলেজের নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে থাকেন। যদিও এই নিয়ে বিধায়ক লাভলি মৈত্র কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “প্রতীক এতটাই প্রভাবশালী, তাঁর দলেরই কাউন্সিলর প্রতীকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন লাঞ্ছনা করার। তখনও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি।”
