West Bengal Panchayat Polls: বাংলার হিংসা দেখে ত্রস্ত পঞ্জাব পুলিশের কর্মী, বললেন, ‘আমাদের রাজ্যে এমন ভোট দেখিনি’
West Bengal Panchayat Polls: ভাঙড়বাসীও চান না এমন ভোট হোক। যে ভোটের জন্য তাঁরা রাস্তায় বেরতে ভয় পাবেন, যে ভোটের জন্য তাঁদের দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হবে

ভাঙড়: মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোট গণনা। ভাঙড় আছে ভাঙড়েই। হানাহানি, রক্তপাল, বোমা-গুলির লড়াইয়ের পর বুধবার সকাল থেকে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। গণতান্ত্রিক দেশে এমন ভোট-চিত্র দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকেই। ভোটে এমন অশান্তি অন্য কোনও রাজ্যে দেখা যায় কি না, এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। হিংসার বীভৎস ছবি দেখে চমকে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও।
ভাঙড়-কাশীপুর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পাঞ্জাব পুলিশের প্রতিনিধিদের। মঙ্গলবার রাতের ঘটনায় তাঁরাও অবাক। বুধবার সকালে শুনশান সোনপুর বাজারে পাহারারত পুলিশকর্মীরা বলেন, পাঞ্জাবে এমন ছবি দেখেননি তাঁরা। এক পুলিশ কর্মী বলেন, ‘পাঞ্জাবে ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই হয়। অনেক সময় কিছু গণ্ডগোল হয়, তবে এত বেশি গণ্ডগোল হয় না। এখানে যে এমন হবে, তা নিশ্চয় আগে থেকেই জানা ছিল। সে কারণেই বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, ভাঙড়বাসীও চান না এমন ভোট হোক। যে ভোটের জন্য তাঁরা রাস্তায় বেরতে ভয় পাবেন, যে ভোটের জন্য তাঁদের দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হবে, থমকে যাবে রুজি-রোজগার, তেমন ভোট হওয়ার দরকার কী? প্রশ্ন তুলছেন ভাঙড়ের মানুষ।
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন রাতে মুহর্মুহ বোমা পড়ে ভাঙড়ে। শোনা যায় পরপর গুলি শব্দ। পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বুধবার সকালেও সেই এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা। বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে।
