Falta Special Economic Zone : বাংলায় শিল্পের হাল : ধুঁকছে ফলতা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মমতার বিনিয়োগ-আহ্বানে ফিরবে হাল?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Apr 21, 2022 | 1:00 PM

Falta Special Economic Zone : ১৯৮৪ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠে। সেইসময় এর নাম ছিল ফলতা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন।

Follow Us

ফলতা : রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে ২ দিনের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। সেখানে বাংলায় বিনিয়োগের সুবিধার একাধিক কারণ শিল্পপতিদের কাছে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পের জন্য জমি প্রস্তুত বলে শিল্পপতিদের আশ্বস্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় যে শিল্পতালুকগুলি রয়েছে, সেগুলির এখন হাল কেমন? তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যান টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিরা। তেমনই একটি শিল্পতালুক ফলতা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা সেজ় (SEZ)।

১৯৮৪ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠে। সেইসময় এর নাম ছিল ফলতা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জ়োন। এটি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। হুগলি নদীর পাড়ে ২৮০ একর জমি নিয়ে গঠিত ফলতা সেজ। এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বিশেষ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে একের পর এক কারখানা গড়ে ওঠে। কাজ পান বহু শ্রমিক। কোনও কারখানায় প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি হয়। কোনটাতে লোহার বল, বিয়ারিং তৈরি হয়। চা প্যাকিং, চটের কাজও হয় বিভিন্ন কারখানায়।  আবার ওই শিল্পতালুককে ঘিরেই গড়ে ওঠে বাজার। খুশি হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এখন কেমন অবস্থা ফলতা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের?

স্থানীয়রা বলছেন, এখন কার্যত ধুঁকছে ফলতা সেজ। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশিরভাগ কারখানা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০টি কারখানা চালু রয়েছে। আগে ছিল প্রায় ১৫০টি কারখানা। কিন্তু, কোথাও ঠিকা শ্রমিক, কোথাও হাতে গোনা কয়েকজনকে দিয়ে চলছে কারখানায় উৎপাদনের কাজ। ঠিকা শ্রমিকের কাজের সময়ও বাড়ানো হয়েছে।

আবার অনেক কারখানায় দেদার ঝাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে সরব হয়েছেন শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, কাঁচামালের অভাবের কথা বলে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। সেকথা মেনে নিচ্ছে একাধিক কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি, আর্থিক সংকট ও কাঁচামালের টান থাকায় শ্রমিক কমাতে হয়েছে। শাসকদলের সিন্ডিকেট ও তোলাবাজিকেও দুষছে একাধিক কারখানা।

রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে আজ থেকে দুদিনের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। শিল্পপতিদের রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বিনিয়োগ-আহ্বানে কি হাল ফিরবে শিল্পতালুকের?

আরও পড়ুন : Bengal Global Business Summit 2022 : ‘এখন আর কর্মদিবস নষ্ট হয় না’, বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান মমতার

ফলতা : রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে ২ দিনের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন আজ শুরু হয়েছে। সেখানে বাংলায় বিনিয়োগের সুবিধার একাধিক কারণ শিল্পপতিদের কাছে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পের জন্য জমি প্রস্তুত বলে শিল্পপতিদের আশ্বস্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় যে শিল্পতালুকগুলি রয়েছে, সেগুলির এখন হাল কেমন? তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যান টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিরা। তেমনই একটি শিল্পতালুক ফলতা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা সেজ় (SEZ)।

১৯৮৪ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে ওঠে। সেইসময় এর নাম ছিল ফলতা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জ়োন। এটি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। হুগলি নদীর পাড়ে ২৮০ একর জমি নিয়ে গঠিত ফলতা সেজ। এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বিশেষ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে একের পর এক কারখানা গড়ে ওঠে। কাজ পান বহু শ্রমিক। কোনও কারখানায় প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি হয়। কোনটাতে লোহার বল, বিয়ারিং তৈরি হয়। চা প্যাকিং, চটের কাজও হয় বিভিন্ন কারখানায়।  আবার ওই শিল্পতালুককে ঘিরেই গড়ে ওঠে বাজার। খুশি হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এখন কেমন অবস্থা ফলতা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের?

স্থানীয়রা বলছেন, এখন কার্যত ধুঁকছে ফলতা সেজ। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশিরভাগ কারখানা। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০টি কারখানা চালু রয়েছে। আগে ছিল প্রায় ১৫০টি কারখানা। কিন্তু, কোথাও ঠিকা শ্রমিক, কোথাও হাতে গোনা কয়েকজনকে দিয়ে চলছে কারখানায় উৎপাদনের কাজ। ঠিকা শ্রমিকের কাজের সময়ও বাড়ানো হয়েছে।

আবার অনেক কারখানায় দেদার ঝাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে সরব হয়েছেন শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, কাঁচামালের অভাবের কথা বলে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। সেকথা মেনে নিচ্ছে একাধিক কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি, আর্থিক সংকট ও কাঁচামালের টান থাকায় শ্রমিক কমাতে হয়েছে। শাসকদলের সিন্ডিকেট ও তোলাবাজিকেও দুষছে একাধিক কারখানা।

রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে আজ থেকে দুদিনের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। শিল্পপতিদের রাজ্যে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বিনিয়োগ-আহ্বানে কি হাল ফিরবে শিল্পতালুকের?

আরও পড়ুন : Bengal Global Business Summit 2022 : ‘এখন আর কর্মদিবস নষ্ট হয় না’, বাংলায় বিনিয়োগের আহ্বান মমতার

Next Article