‘মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের নাম ভোরের আলো, তাঁর নির্দেশই শেষ কথা’, কর্মীদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা

শনিবার বৈঠক শেষে সাবিনা বলেন, "মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্বপ্নের নাম 'ভোরের আলো' প্রকল্প। এই পর্যটন হাবটিকে কেন্দ্র করে অনেক কাজ হয়েছে। সেচ দফতরের মাধ্য়মে এখানে পাম্প হাউসের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া গজলডোবা ব্যারেজ ও তিস্তা বাঁধের অনেক কাজ করা হয়েছে। যাতে আরও কিছু কাজ করা যায়, তার চেষ্টা করা হবে।"

'মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের নাম ভোরের আলো, তাঁর নির্দেশই শেষ কথা', কর্মীদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানালেন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 29, 2021 | 7:37 PM

জলপাইগুড়ি: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Cyclone Yaas) দাপট কমতেই ফের পুরনো উদ্যমে পথে নেমেছেন মালদা মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। শনিবার, করোনা আবহকে উপেক্ষা করে উত্তরবঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প  ‘ভোরের আলো’ পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা (Sabina Yasmin)। এদিন, তিনি গজলডোবার ‘ভোরের আলো’ পর্যটন হাবের আধিকারিক-সহ সেচ ও বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখেন প্রতিমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

শনিবার বৈঠক শেষে সাবিনা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্বপ্নের নাম ‘ভোরের আলো’ প্রকল্প। এই পর্যটন হাবটিকে কেন্দ্র করে অনেক কাজ হয়েছে। সেচ দফতরের মাধ্যমে এখানে পাম্প হাউসের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া গজলডোবা ব্যারেজ ও তিস্তা বাঁধের অনেক কাজ করা হয়েছে। যাতে আরও কিছু কাজ করা যায়, তার চেষ্টা করা হবে। তিস্তা বাঁধ নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। তাও শীঘ্রই মিটে যাবে বলে আশা করা যায়। সেইজন্যেই আজ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সকলেই জানেন, বাম আমলে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন বলতে কিছু ছিল না। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। অনেক কাজ হয়েছে। আরও হবে। আমার অধঃস্তন আধিকারিক ও কর্মীদের আমি জানিয়ে দিয়েছি, মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাঁর নির্দেশেই সব কাজ হবে এবং তাঁর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালিত হবে।”

উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে পর্যটন শিল্পে গতি বৃদ্ধি করতে  প্রথম থেকেই ‘উদারহস্ত’ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিক পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। গজলডোবায় ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয় ‘ভোরের আলো’ পর্যটন হাবের কাজ। পর্যটকদের জন্য বিশেষ অতিথিনিবাস থেকে শুরু করে তিস্তা নদীতে র‍্যাফটিং বা সাফারি সবই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। একুশের নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে ঢালাও করে নিজের মন্ত্রিসভা সাজান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারেই প্রথম মালদার মোথাবাড়ির বিধায়ককে জোড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রীর পদ দেন মমতা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর নিজের হাতেই রেখেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী করেছেন সাবিনাকে। পাশাপাশি, সেচ ও জলপথ দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও সাবিনাকেই নির্বাচিত করেন মমতা।

আরও পড়ুন: হুগলিতে টর্নেডোর দাপট, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে লকেট, দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলেন অসিত