একটা শর্তেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি! ‘ফাঁস’ করলেন শুভেন্দু
পূর্ব বর্ধমান: বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম দলীয় কর্মসূচি ছিল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। নতুন ইনিংস নিজের গড় মেদিনীপুর থেকে শুরু করেননি তিনি। বরং পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে প্রথম সভায় বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। এদিনের বক্তব্যেও লক্ষণীয়ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই ছিলেন তাঁর নিশানায়। একই সঙ্গে কোন শর্তে তিনি বিজেপিতে যোগ […]
পূর্ব বর্ধমান: বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর এদিন প্রথম দলীয় কর্মসূচি ছিল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। নতুন ইনিংস নিজের গড় মেদিনীপুর থেকে শুরু করেননি তিনি। বরং পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থেকে প্রথম সভায় বক্তা হিসেবে ভাষণ দেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। এদিনের বক্তব্যেও লক্ষণীয়ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই ছিলেন তাঁর নিশানায়। একই সঙ্গে কোন শর্তে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সেটাও জানান।
শুভেন্দুকে এদিন শোনা যায় অতীত স্মরণ করাতে। ১৯৯৮ সালের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সেই সময় যদি অটল বিহারী বাজপেয়ী বা আডবাণীরা তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিতেন তবে, তাহলে এই দলটা ২০০১ সালের আগেই উঠে চলে যেত। কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না।
২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়। তখন কোনও রাজনৈতিক দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। কিন্তু আডবাণী, প্রয়াত সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংয়ের মতো নেতারাই এসেছিলেন। সেই কথা মনে করিয়ে কৃতজ্ঞতার সুর ঝরে পড়ে শুভেন্দুর গলায়। তৃণমূল তাঁকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিলেও তিনি এদিন মনে করিয়ে দেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় তৃণমূল নেত্রীকে ফলের রস খাইয়ে দিয়েছিলেন রাজনাথ সিং নিজেই। এমনকী বিজেপির কারণেই নন্দীগ্রামে কথা সংসদে উঠতে পেরেছিল, তাই তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলেই দাবি করেন। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, এই দলটা কোম্পানিতে পরিণত হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: আগামিকাল বেরোচ্ছে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের নোটিস: মমতা
তিনি কোন শর্তে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাও এদিন সাফ করে দেন। শুভেন্দু বলেন, আমি অমিতজী, কৈলাসজীকে বলেছি। কোনও শর্ত নেই। শর্ত একটাই, তোলাবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান। কয়লা-গরু পাচার হয়ে গেছে ধরাও পড়ে গেছে। এরা যদি জিততে পারে, এবার কিডনি পাচার বাকি আছে।