‘ম্যাডাম নারুলার’ থাইল্যান্ডের অ্যাকাউন্টে মাসে ৩৬ লাখ টাকা পাঠাত লালা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

পদত্যাগী পরিবহণ মন্ত্রী সোজাসাপ্টা প্রশ্নটা, "‌ম্যাডাম নারুলাটা কে?‌ লালার টাকা কার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে? থাইল্যান্ডের কাসিকর্ন ব্যাঙ্কের ‌সিয়াম প্যারাগন শাখায় ‌প্রত্যেক মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে ঢুকেছে। রসিদটাও আছে।"

'ম্যাডাম নারুলার' থাইল্যান্ডের অ্যাকাউন্টে মাসে ৩৬ লাখ টাকা পাঠাত লালা, বিস্ফোরক শুভেন্দু
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jan 25, 2021 | 11:02 PM

কলকাতা: কুলতলির সভা থেকে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) আক্রমণ করতে গিয়ে তুই-তোকারিতে নেমে এসেছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই তমলুকের সভা থেকে কয়লাপাচার কাণ্ডে সরাসরি যুব তৃণমূল সভাপতিকে নিশানায় নিলেন শিশির-পুত্র। সভামঞ্চে প্রকাশ্যে থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে খতিয়ান দিয়ে তিনি দাবি করেন, সেখানে প্রত্যেক মাসে লালার ৩৬ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। এরপরই বোমা ফাটিয়ে শুভেন্দুর দাবি, সেই অ্যাকাউন্ট ‘ম্যাডাম নারুলার’ নামে রয়েছে। কে ‘ম্যাডাম নারুলা’? সেটাও খুব শিগগির জানাবেন শুভেন্দু।

পদত্যাগী পরিবহণ মন্ত্রী সোজাসাপ্টা প্রশ্নটা, “‌ম্যাডাম নারুলাটা কে?‌ লালার টাকা কার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে?” শুভেন্দু বলে চলেন, “থাইল্যান্ডের কাসিকর্ন ব্যাঙ্কের ‌সিয়াম প্যারাগন শাখায় ‌প্রত্যেক মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে ঢুকেছে। রসিদটাও আছে আমার কাছে। তোলাবাজ ভাইপো কী বলবেন? লালার টাকা কার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে?”

গতকাল শুভেন্দুকে ‘ঘুষখোর’ বলেছিলেন অভিষেক। এদিন পাল্টা দিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, “ও তো ছোট বয়স থেকেই চিটিংবাজ। সে আজ বলছে বড়বড় কথা। এরকম চিটিংবাজ খুব কম আছে। ছোট বয়স থেকে হাত পাকিয়েছে কী করে চিটিংবাজি করতে হয়।” শুভেন্দুর দাবি, অভিষেকের ‘এমবিএ’‌ ডিগ্রি ভুয়ো।

এ দিন তিনি আরও বলেছেন, “জেলের মধ্যে সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছিল। তাতে নাম ছিল বিমান বসু, অধীরের। অভিষেক জানেন না বিমান বসুর জীবনযাপন সম্পর্কে।” শুভেন্দুর সংযোজন, “বলছে আমাকে তোয়ালে মুড়িয়ে কী যেন নিতে দেখা গিয়েছে, তাহলে ফিরহাদ, সৌগত, কাকলিদের কী বলবেন?”

আরও পড়ুন: ১৬ ফেব্রুয়ারির পর আপনার বাড়িতেই পদ্ম ফোটাব’, মমতার পরিবারের কাকে দলে টানছেন শুভেন্দু?

অভিষেককে নিশানা করে শুভেন্দু আরও বলেন, ” নেতাজির জন্মস্থান নিয়েও ভুল তথ্য দিয়েছেন ভাইপো। বাংলায় নয় নেতাজি কটকে জন্মেছিলেন। নেতাজি পুরুষোত্তম রামের উপাসক ছিলেন।” বলেন, “মোদীজীর নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ব।” শুভেন্দু এদিন আরও একবার স্লোগান তোলেন, “হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে।”

আরও পড়ুন: শুভেন্দুর দোরগোড়ায় অভিষেক, প্রহর গুনছে কাঁথি