Jalpaiguri: কেঁচো কাণ্ডে তোলপাড় জলপাইগুড়ি, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে বিক্ষোভ পদ্ম শিবিরের, হাসপাতালে সাংসদ

হাসপাতালের খাবারে কেঁচো। তার জেরে হাসপাতালের খাবার নেওয়া বন্ধ করে দিল ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার। অসুস্থ ছেলেকে খাবার দিতে ৩০ কিলোমিটার পথ যাতায়াত করতে হচ্ছে বাবাকে।

Jalpaiguri: কেঁচো কাণ্ডে তোলপাড় জলপাইগুড়ি, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে বিক্ষোভ পদ্ম শিবিরের, হাসপাতালে সাংসদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2022 | 11:29 PM

জলপাইগুড়ি: খাবারে কেঁচো। ঘটনা সামনে আসতেই হাসপাতালের খাবার মুখে তুলছিলেন না অনেকেই। খবর পেয়ে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা হাসপাতালে আসেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত কুমার রায়। আস্থা ফেরাতে কথা বলেন রোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে। এদিন সাংসদের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত হয়েছেন অনেকেই। হাসপাতালের খাবার নিতে রাজিও হয়ে যান তাঁরা। সাংসদ জানান, “খাবারে কেঁচো পাওয়ার পর থেকে অনেকেই হাসপাতালের খাবার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। এই খবর জানতে পেরে আমি আজ হাসপাতালে আসি। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে উপযুক্ত তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির কথা জানিয়েছি। ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলাম। আসলে হাসপাতালে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে অত্যন্ত গরীব মানুষ আসেন। তাঁদের পক্ষে খাবার কিনে দেওয়াও যেমন কঠিন ব্যাপার, তেমনই বাড়ি থেকে নিয়মিত খাবার নিয়ে আসাও মুশকিল। আর এঁরা যদি হাসপাতালের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলে তবে তাঁরা আর কোথায় যাবে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া”। 

অন্যদিকে ঘটনার প্রতিবাদে শুরু থেকেই মাঠে নেমেছিল পদ্ম শিবির। জয় শ্রী রাম স্লোগান দিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরে “কেঁচো খোড় CMOH” এই মর্মে পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়ে বিক্ষোভও দেখায় বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা। বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষের নেতৃত্বেই এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এদিকে এর আগে গতকাল জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের ঘরে মহাশ্মশান পোষ্টার লাগিয়েছিল তৃণমুল। টাউন স্টেশনে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন না দাঁড়ানোর প্রতিবাদেই এই পোস্টার লাগায় শাসক দল। ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হতে না হতেই এবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরে কেঁচো খোড় CMOH পোস্টার লাগিয়ে দিল বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা। সহজ কথায় বর্তমানে পোস্টার রাজনীতিতে সরগরম জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক ময়দান। 

এদিনের কর্মসূচি শেষে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ বলেন, “হাসপাতালের খাবারে কেঁচো পাওয়া গিয়েছিল। এত বড় ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে গতকাল তৃণমুল স্টেশনে পোস্টার লাগিয়েছিল। কিন্তু আমরা এই ইস্যু ছাড়ব না। আমরা আজ স্মারকলিপি দিতে এসেছিলাম। কোনও স্বাস্থ্য আধিকারিক বা কোনও স্টাফকে পেলাম না। তাই ডকেটে স্মারকলিপি জমা দিলাম। এরা অফিস ফাঁকা করে  সবাই মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আলিপুর দুয়ারে গিয়েছে। এদিন বিজেপির করা অভিযোগ নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার অসীম হালদারের সঙ্গে ফোনে করা হলেও তিনি তা ধরেননি।