পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রত্যেক দিনের মতোই শুক্রবার সকালেও স্কুলে গিয়েছিল প্রথম শ্রেণির ছাত্র শুভজিৎ। ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ স্কুলের বাইরে বেরিয়ে আসতেই ঘটে ঘোরতর বিপত্তি। স্কুলের পাশেই চন্দ্রকোনা-ঘাটাল (Chandrakona-Ghatal State Highway) রাজ্য সড়ক। শুভজিৎ স্কুল থেকে বেরোতেই তাঁকে পিষে দেয় দ্রুত গতিতে ছুটে আসা বালি বোঝাই লরি। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় ওই নিষ্পাপ শিশু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রীতিমতো উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা। স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর কথা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষজন। পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলে রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে গোপসাই এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ স্কুলে চলাকালীন কী ভাবে ওই ছাত্র বাইরে বেরিয়ে আসল, পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, রাজ্য সড়কে পাশে স্কুল হওয়া সত্ত্বেও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্কুলের সামনে কোনও বন্দোবস্তই করেনি পুলিশ।
ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে যখন পুলিশ হঠাই করেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃত দেহ তুলে নিয়ে যায়। সকাল থেকেই শুরু হয় রাজ্য সড়ক অবরোধ। টায়ার জ্বালিয়ে স্থানীয় মানুষরা প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। পুলিশ অবরোধ সরাতে গিয়ে বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে সাময়িকভাবে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, পুলিশ এই ছোট্ট ছেলের মৃত্যুর ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকে চন্দ্রকোনা-ঘাটাল রাজ্যসড়ক।
শেষে ঘাটালের এসডিপিও অগ্নীশ্বর চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দ্বিতীয়াবার পুলিশ সেখানে পৌঁছলে পরিস্থিতি আবারও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশ অবরোধ তুলে দিয়ে অবরোধকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরাতে গেলে পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের বচসা,ধস্তাধস্তি বাঁধে। কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা দিতে পরিস্থিতি আরও বেশি উত্তপ্ত হয়। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীদের রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। শেষমেশ লাঠি উচিঁয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। কয়েকজন পুলিশ কর্মী সহ এক শিক্ষিকা এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। এলাকায় এখনবও বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন Chandannagar Train Loot: ট্রেনে ভিখারি দেখলেই সাবধান! নইলে আপনার অবস্থাও এই দম্পতির মতো হতে পারে
পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রত্যেক দিনের মতোই শুক্রবার সকালেও স্কুলে গিয়েছিল প্রথম শ্রেণির ছাত্র শুভজিৎ। ক্লাস চলাকালীন হঠাৎ স্কুলের বাইরে বেরিয়ে আসতেই ঘটে ঘোরতর বিপত্তি। স্কুলের পাশেই চন্দ্রকোনা-ঘাটাল (Chandrakona-Ghatal State Highway) রাজ্য সড়ক। শুভজিৎ স্কুল থেকে বেরোতেই তাঁকে পিষে দেয় দ্রুত গতিতে ছুটে আসা বালি বোঝাই লরি। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় ওই নিষ্পাপ শিশু। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রীতিমতো উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা। স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর কথা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষজন। পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলে রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে গোপসাই এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ স্কুলে চলাকালীন কী ভাবে ওই ছাত্র বাইরে বেরিয়ে আসল, পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, রাজ্য সড়কে পাশে স্কুল হওয়া সত্ত্বেও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে স্কুলের সামনে কোনও বন্দোবস্তই করেনি পুলিশ।
ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে যখন পুলিশ হঠাই করেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃত দেহ তুলে নিয়ে যায়। সকাল থেকেই শুরু হয় রাজ্য সড়ক অবরোধ। টায়ার জ্বালিয়ে স্থানীয় মানুষরা প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। পুলিশ অবরোধ সরাতে গিয়ে বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে সাময়িকভাবে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, পুলিশ এই ছোট্ট ছেলের মৃত্যুর ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে। ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকে চন্দ্রকোনা-ঘাটাল রাজ্যসড়ক।
শেষে ঘাটালের এসডিপিও অগ্নীশ্বর চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দ্বিতীয়াবার পুলিশ সেখানে পৌঁছলে পরিস্থিতি আবারও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশ অবরোধ তুলে দিয়ে অবরোধকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরাতে গেলে পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের বচসা,ধস্তাধস্তি বাঁধে। কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা দিতে পরিস্থিতি আরও বেশি উত্তপ্ত হয়। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীদের রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। শেষমেশ লাঠি উচিঁয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। কয়েকজন পুলিশ কর্মী সহ এক শিক্ষিকা এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। এলাকায় এখনবও বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন Chandannagar Train Loot: ট্রেনে ভিখারি দেখলেই সাবধান! নইলে আপনার অবস্থাও এই দম্পতির মতো হতে পারে