রাম মন্দির নির্মাণে টাকা দিতে রাজি তৃণমূল জেলা সভাপতি, তবে আরএসএস-এর হাতে নয়
"রাম মন্দির নির্মাণ প্রকল্পে সরকার যদি কোনও ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়, তবে সেই নম্বরে আমরা প্রত্যেকে টাকা পাঠাবো। কিন্তু আরএসএসের মাধ্যমে নয়।"
জলপাইগুড়ি: রাম মন্দির নির্মাণে (Ayodhya Ram Mandir) আর্থিক সাহায্য করা যেতেই পারে। তবে আরএসএস (RSS)-র হাতে ‘চাঁদা’ দিতে আপত্তি রয়েছে জলপাইগুড়ির তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণীর।
এদিন তিনি বলেছেন, রাম মন্দির নির্মাণ প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য করায় কোনও আপত্তি তাঁর নেই। কিন্তু সেটা তিনি সংঘের মাধ্যমে করতে নারাজ। কৃষ্ণ কুমারবাবু জানান, “রাম মন্দির নির্মাণ প্রকল্পে সরকার যদি কোনও ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়, তবে সেই নম্বরে আমরা প্রত্যেকে টাকা পাঠাবো। কিন্তু আরএসএসের মাধ্যমে নয়।”
ঘটনা হচ্ছে, রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে গতকাল থেকে জলপাইগুড়িতে অর্থ সংগ্রহ বা ‘চাঁদা’ তোলা শুরু করেছে আরএসএস। ডাঙাপাড়া এলাকার একটি কালী বাড়িতে রামের পুজো দিয়ে এই কাজ শুরু করে সংঘের সদস্যরা। এদিন সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়েই এ কথা বলেন তিনি। এদিন জলপাইগুড়ি তৃণমূল ভবনে ছিল কোর কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী।
আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারী বৃদ্ধকে ফেরাল নার্সিং হোম, জমি-বাড়ি বন্ধক রেখে হল চিকিৎসা’
আরএসএস-র এই অর্থ সংগ্রহ অভিযানকে আজ কটাক্ষ করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবেদন জানান, “যারা রামকে সামনে রেখে হিন্দুত্বের জিগির তুলে মানুষকে বিভাজন করছেন, তাঁদের মাধ্যমে আপনারা কোনও ভাবেই আর্থিক সাহায্য করবেন না।” তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু গুহ বলেন, “কারোর রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকতেই পারে। কিন্তু রাম আপামর ভারতবাসীর। আমরা চাই রাম মন্দির নির্মাণ প্রকল্পে আপামর ভারতবাসী মুক্ত হস্তে দান করুক।”