বিক্ষুব্ধ বৈশালী, তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত বালির বিধায়কের

তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছেন একের পর এক বিধায়ক-মন্ত্রী। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)। এদিন বিকেলে ফেসবুকে একটি বিস্ফোরক ভিডিয়ো প্রকাশ করে দলত্যাগের জল্পনা উস্কে দিয়েছেন এই তৃণমূল নেত্রী।

বিক্ষুব্ধ বৈশালী, তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত বালির বিধায়কের
ছবি- ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2020 | 9:36 AM

হাওড়া: তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছেন একের পর এক বিধায়ক-মন্ত্রী। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া (Baishali Dalmiya)। এদিন বিকেলে ফেসবুকে একটি বিস্ফোরক ভিডিয়ো প্রকাশ করে দলত্যাগের জল্পনা উস্কে দিয়েছেন এই তৃণমূল নেত্রী।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। বালি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৬ জন প্রাক্তন কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে একটি দলীয় বৈঠক করে টিম পিকে। সেই বৈঠকে ডাকা হয়নি বিধায়িকা বৈশালী ডালমিয়াকে। এহেন অভিযোগ তুলে মিটিংয়ের শেষ মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত হন বালি ব্লকের প্রাক্তন সভানেত্রী বিজয়লক্ষ্মী রাও। কিন্তু, উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলররা চড়াও হন তাঁর ওপর। এমনকী, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শোভাদেবী তাঁকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ।

ঘটনার পর এদিন বিকেলে ফেসবুকে একটি বিস্ফোরক ভিডিয়ো পোস্ট করেন বালির বিধায়ক। যেখানে তিনি তৃণমূলেরই প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধিদের ‘গুণ্ডা’ বলে আখ্যা দেন। প্রাক্তন প্রতিনিধিদের তিনি ‘অপদার্থ ও দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে দাবি করেন। পাশাপাশি, এই সমস্ত লোকেরা যদি দল চালায় তাহলে দল থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। একইসঙ্গে তৃণমূলের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘দলের পুরনো কর্মী এবং যাঁরা দলকে প্রকৃত ভালবাসেন, তারা কি শুধুই চোখের জল ফেলবে এবং একঘরে হয়ে থাকবে?’

আরও পড়ুন: উত্তরকন্যা অভিযানে শামিল সব প্রথম সারির বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর

এই নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি হাওড়া জেলা (সদর) বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। শাসক দলকে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে’। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে নবান্ন-সহ হাওড়া শহরে বিভিন্ন জায়গায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নামের পোস্টার পড়তে দেখা যায়। বালি বিধানসভা অঞ্চলেও দেখা গিয়েছিল সেই পোস্টার। এই পোস্টারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সততার প্রতীক বলে অভিহিত করা হয়। তার কয়েকদিন আগে মন্ত্রী নিজের দল এবং দলের নেতৃত্বকে তুলোধনা করে বলেছিলেন, স্তাবকতা করলেই বেশি নম্বর পাওয়া যায়। সেই কারণেই তাঁর নম্বর কম। এখন হচ্ছে স্তাবকতার যুগ। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালি বিধানসভা কেন্দ্রে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

আরও পড়ুন: দলীয় কার্যালয়ে বসবেন না শুভেন্দু! নন্দীগ্রামে নিজস্ব কার্যালয় খুললেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী