TMC: মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের দুই নেতা, মালবাজারে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

মন্ত্রী মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় মঞ্চে আসার আগেই তীব্র বিবাদে জড়িয়ে পড়েন অগাস্টুস কেরকাট্টা এবং INTTUC-র জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া।

TMC: মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের দুই নেতা, মালবাজারে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
মালবাজারে হাতাহাতি অগাস্টুস কেরকাট্টা এবং INTTUC-র জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়ার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2022 | 6:52 PM

মালবাজার: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীন্দল প্রকাশ্যে। এবার একেবারে মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূলের দুই নেতা। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র নেতার হাতে তৃণমূলের আদিবাসী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ির মালবাজারে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় যে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল তা বলা বাহুল্য।

জানা গিয়েছে, চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি দাবা নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC। সেই আন্দোলনে যোগদান করতে শুক্রবার মালবাজার আসেন তৃণমূলের আদিবাসী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা অগাস্টুস কেরকাট্টা। এদিনই মালবাজারের এলেনবাড়ি এলাকা থেকে শুরু হয় পাঁচদিনব্যাপী তৃণমূলের পথযাত্রা। সেই পদযাত্রা শুরুর প্রাক্কালে মন্ত্রী মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় মঞ্চে আসার আগেই তীব্র বিবাদে জড়িয়ে পড়েন অগাস্টুস কেরকাট্টা এবং INTTUC-র জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া। তারপরই অগাষ্টুস কেরকেট্টাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করা হয় বলে অভিযোগ। আর সমস্ত ঘটনাটি ঘটে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ এবং জেলার অন্যান্য নেতৃত্বদের সামনে। এই ঘটনায় রাজেশ লাকড়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অগাস্টুস। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে রাজেশ লাকড়া বলেন, “আমি কোনওভাবে অগাস্টুসকে ধাক্কাধাক্কি করিনি, দলের কর্মীরা করেছে।” গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিষয়টি দলের তরফে খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই মাল মহকুমায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশে আসতে শুরু করেছে। ঘটনার সূত্রপাত, কয়েকদিন আগে মালবাজার পুরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলর পুলিন গোলদার এবং অজয় লোহারের উপরে হামলার ঘটনার সময় থেকে। পুলিন গোলদার এবং অজয় লোহার উপরে হামলা এবং আদিবাসীদের জাত তুলে গালি-গালাজের প্রতিবাদ জানিয়ে অগাস্টুস মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন এবং জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতির কুশপুত্তুলিকা দাহ করেছিলেন। তারপর থেকেই তৃণমূলের অন্দরে উত্তাপ বাড়তে শুরু করে। এদিনের ঘটনা তারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।