Karim Chowdhury: মুখ্যমন্ত্রীকে ‘চিপ কথা’ বলা করিমের ‘পাশে’ বাম-কংগ্রেস-বিজেপি, পৃথক জেলা চাইলেন অনেকেই!

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Dec 08, 2021 | 8:30 PM

Islampur: "সবাই চায় উন্নততর…আমাদের দিদি বলেই দিলেন যে, আমরা সোনার বাংলা গড়তে পারব না। যেটা বিজেপি বলে সেটা মিথ্যা কথা। এটা সম্ভব নয় করা।”

Karim Chowdhury: মুখ্যমন্ত্রীকে চিপ কথা বলা করিমের পাশে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি, পৃথক জেলা চাইলেন অনেকেই!
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ

Follow Us

উত্তর দিনাজপুর: “এসব চিপ কথা এখানে বলবেন না… এর পর বলবেন ঘরের মধ্যেও একটা জেলা চাই”। প্রশাসনিক বৈঠকে এভাবেই কড়া ধমক দিয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক করিম চৌধুরীকে বসিয়ে দিয়েছিলেম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। যদিও মঙ্গলবার করিম জানান ফের তিনি এই দাবি নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে দরবার করবেন। কিন্তু প্রবীণ এই রাজনীতিককে মুখ্যমন্ত্রীর এই ভর্ৎসনা করাকে ভাল চোখে দেখছে না উত্তর দিনাজপুরের রাজনীতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ। কী বলছেন তাঁরা?

মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইসলামপুর আলাদা জেলার দাবি করেছিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হন মমতা। তাঁকে বসিয়ে দিয়েছিলেন। এ নিয়ে জেলার সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন।

বুধবার যেমন কংগ্রেসের দাবি, করিম চৌধুরী জেলার একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তাঁকে এভাবে জনসমক্ষে ‘অপমান’ করা মুখ্যমন্ত্রীর উচিত হয়নি। তবে করিম চৌধুরীর জেলা ভাগের দাবিও সঠিক নয় বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। বরং জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের দাবি, তৃণমূল এই ছোট জেলা ভাগ করার চক্রান্ত করছে।

একই মত বামেদেরও। সিপিএম বলছে, “একজন বয়স্ক মানুষ (করিম চৌধুরী)। তিনি দীর্ঘদিনের এমএলএ। তাঁর সঙ্গে এভাবে কথা বলা মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক হয়নি।” “তবে জেলাভাগ করে উন্নয়ন নয়, চাই সার্বিক বাংলার উন্নয়ন।” বলছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল।

আর এ নিয়ে টিপ্পনী করার সুযোগ হাতছাড়া করেনি বিজেপি। তাদের কটাক্ষ, এটা খেলা হবে-র নমুনা। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের বক্তব্য, “নিজের দলের বিধায়কের সঙ্গে এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। তবে এটাই খেলা হল-র নমুনা।”

তবে ইসলামপুরের সাধারণ মানুষের অধিকাংশের দাবি ইসলামপুর আলাদা জেলা হলে তাদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। বর্তমানে চোপড়া ব্লকের থেকে রায়গঞ্জের কর্নজোড়ায় জেলা প্রশাসনিক ভবনে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে আসতে সময় ও অর্থ দুইয়েরই অপচয় হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনেকাংশ মানুষ চাইছেন আলাদা জেলা হোক ইসলামপুর।

আবার জেলার অন্যান্য প্রান্তের বাসিন্দাদের অনেকেই ইসলামপুর আলাদা জেলার পক্ষে মত দেননি। আবার বিধায়ক-মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্যে এই জেলা নিয়ে তরজা ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। সব মিলিয়ে করিম চৌধুরী ইস্যু নিয়ে কার্যত সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয় কর্ণজোড়ায়। সেখানে বিধায়কদের খবরাখবর নেওয়ার সময় মাইক হাতে বলতে ওঠেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরী। ইসলামপুরের বিধায়ক বলেন, “ইসলামপুরপকে একটা আলাদা জেলা করে দেওয়া হোক”। আর তা শোনা মাত্রই ঝাঁঝিয়ে ওঠেন মমতা। তিনি বলেন, “এসব চিপ কথা এখানে বলবেন না। কোথায় কী বলতে হয় জানুন। এর পর তো বলবেন ঘরের মধ্য়ে একটা জেলা চাই!” এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। ধমকে উঠে বলেন, “এই চুপ করে বসুন তো। অনেক বকেছেন। এই লোকটা প্রচুর বকে। উফফ!… যতই দাও কেবল নাই। এই এক ঝামেলা। ”

এদিকে করিম চৌধুরী ধমক খাওয়ার পরেও নাছোড়। তিনি জানান “সবাই চায় উন্নততর…আমাদের দিদি বলেই দিলেন যে, আমরা সোনার বাংলা গড়তে পারব না। যেটা বিজেপি বলে সেটা মিথ্যা কথা। এটা সম্ভব নয় করা।”

আরও পড়ুন: KMC Election 2021: ‘কলকাতার প্রথম ৩ মেয়র পড়তেন প্রেসিডেন্সিতে, শেষ ৩ ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে’

Next Article