KMC Election 2021: ‘কলকাতার প্রথম ৩ মেয়র পড়তেন প্রেসিডেন্সিতে, তৃণমূলের ৩ ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে’

BJP: শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, "মুখ যেই হোন, তিনি সুভাষ বসু, চিত্তরঞ্জন দাসের মর্যাদা রাখবেন।''

KMC Election 2021: 'কলকাতার প্রথম ৩ মেয়র পড়তেন প্রেসিডেন্সিতে, তৃণমূলের ৩ ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে'
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2021 | 12:35 AM

কলকাতা: ‘কলকাতা পুরসভার প্রথম তিন মেয়র প্রেসিডেন্সি কলেজে ছিলেন। আর শেষ তিন মেয়র প্রেসিডেন্সি জেলে গেছিলেন দূর্নীতির দায়ে।’ কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipaliy Election 2021) ইশতাহার প্রকাশের সময় কটাক্ষ বিজেপি নেতা দীনেশ ত্রিবেদীর (Dinesh Trivedi)। আর বিজেপির মেয়র মুখ কে, এই প্রশ্নের উত্তরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, “মুখ যেই হোন, তিনি সুভাষ বসু, চিত্তরঞ্জন দাসের মর্যাদা রাখবেন।”

মঙ্গলবার কলকাতা পুরভোটের ইশতাহার প্রকাশ করেছে বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। কলকাতার স্বাস্থ্য থেকে নিরাপত্তা, পরিবেশ থেকে সংস্কৃতি সমস্ত ক্ষেত্রে উন্নতির একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। রয়েছে দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও। ইশতাহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলকাতা জিতবে, জিতবে বিজেপি’।

এই উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে শুভেন্দুর মন্তব্য, “নির্বাচন নিয়ে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। দখলদারির রাজনীতি অন্যতম উদাহরণ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যেমন গেছি। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের মধ্যে আমরা ১৪৪ প্রার্থী দিয়েছি। কলকাতায় এই অবস্থা হলে গ্রামে কী অবস্থা বোঝা যাচ্ছে। এর মধ্যেও আমরা নির্বাচন প্রচার চালাচ্ছি।” তিনি উল্লেখ করেন, ইশতাহারে ৫টি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। ৮ লক্ষ পরিবারের হাতে এই ঘোষণা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। শুভেন্দুর কথায়, “স্বাস্থ্য, স্বচ্ছতা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি- এইগুলিতে জোর দিয়েছি।”

কিন্তু বিজেপির মেয়র মুখ কে? এর উত্তরে কোনও নাম নেননি শুভেন্দু। তবে জানান, যে চেয়ারে সুভাষচন্দ্র বসুর মতো ব্যক্তিত্ব বসেছেন, সেখানে তাঁদের মর্যাদে রাখবেন এমন মুখকে এগিয়ে দেবেন তাঁরা। অন্যদিকে দীনেশ ত্রিবেদীর টিপ্পনী, ‘কলকাতা পুরসভার প্রথম তিন মেয়র প্রেসিডেন্সি কলেজে ছিলেন। আর শেষ তিন মেয়র প্রেসিডেন্সি জেলে গেছিলেন দূর্নীতির দায়ে।’

প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় কয়েক মাস আগে জেলে যেতে হয় কলকাতার শেষ তিন মেয়রকে। যদিও ঘটনাচক্রে তাঁদের একজনের শেষ রাজনৈতিক পরিচয় ছিল বিজেপি নেতা হিসাবেই। তিনি বিজেপির কলকাতার পর্যবেক্ষকও ছিলেন।

কলকাতা পুরসভার প্রথম তিন মেয়র ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, জ্যোতিন্দ্র মোহন সেনগুপ্ত ও সুভাষ চন্দ্র বসু। তাঁরা প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী ছিলেন। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার শেষ তিন মেয়রের নাম বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম। তবে বিজেপি নেতারা নাম না করে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের তিন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে।

এদিকে এদিন শুভেন্দু আরও বলেন, “নির্বাচন বিষয়ে গতকালই বলেছি। অপেক্ষা করছি… নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অনীহা জানিয়েছে। রাজ্যপাল বলেছেন একটা রিপোর্ট দিয়েছেন। তিনি খুশি নন। আমরা তাই অপেক্ষা করছি। পাশাপাশি আইনি লড়াইও চলছে।” পাশাপাশি তিনি এও যোগ করেন, ভিভিপ্যাট ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট অবাধ হতে পারে না।

বিজেপি নেতা আরও যোগ করেন, “অভিষেক বলেছেন কাউকে যেন আটকানো না হয় (ভোটদানের সময়)। কিন্তু ভবানীপুরে দেখেছি কত মানুষ ভোট দিতে গেলেন না। কারণ, তাদের কলকাতা পুলিশের কিছু অফিসার ও গুন্ডা বলে এসেছেন যে, আপনি না গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট দেওয়া হয়ে যাবে।” আর রাজ্য বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য যোগ করেন, “এই সরকার আসার আগে রাজ্যের ঋণ ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি, আর এখন ৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ঋণ। এই সরকার ঘোষণা সর্বস্ব। আগামীদিনে এই সরকারের আসল চেহারা মানুষ বুঝতে পারবে।”

আরও পড়ুন: CM Mamata Banerjee: ‘বাংলার চাকরি যেন বাংলার ছেলেমেয়ে পান, বাংলা ভাষা জানা জরুরি,’ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর