CM Mamata Banerjee: ‘বাংলার চাকরি যেন বাংলার ছেলেমেয়ে পান, বাংলা ভাষা জানা জরুরি,’ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata Banerjee in Malda: "আমি চাই, যে রাজ্যের চাকরি, সে রাজ্যের ছেলেমেয়ে যেন চাকরিটা পায়। বামলা হলে বাংলা রাজ্যের ছেলেমেয়েরা। বাংলায় যারাই বসবাস করুক...ভাষায় সে রাজবংশী হতে পারে, কামতাপুরী হতে পারে, হিন্দি হতে পারে আমার কোনও আপত্তি নেই।''

এদিন মালদহের প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, “আমি চাই, যে রাজ্যের চাকরি, সে রাজ্যের ছেলেমেয়ে যেন চাকরিটা পায়। বাংলা হলে বাংলা রাজ্যের ছেলেমেয়েরা। বাংলায় যারাই বসবাস করুক…ভাষায় সে রাজবংশী হতে পারে, কামতাপুরী হতে পারে, হিন্দি হতে পারে আমার কোনও আপত্তি নেই।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও যোগ করেন, “বাংলা ভাষাটা জানতে হবে। বাংলা ভাষাটাকে বুঝতে হবে। বিহারে বিহারের লোকেরা পাবে। তা না হলে বিহারের সরকারকে ধরবে। ইউপি-তে ইউপি-র লোকেরা নিশ্চয়ই পাবে। সব রাজ্যেই তার নিজেদের ছেলেমেয়েরা, অধিবাসীরা যেন কর্মসৃষ্টিতে কর্মটা পায়, সেটা দেখতে হবে।” মমতা এও বলেন, “আমি ভেবে দেখতে বলব। অনেক সময় অনেক কমিশন করে দেওয়া হয়। সার্ভিস কমিশন, এই কমিশন সেই কমিশন। তারা চাকরিতে নেয় নম্বরের ভিত্তিতে।”
মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করেন তিনি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে নয় রাজ্য সরকারের চাকরির কথা বলছেন। তার পর তিনি যোগ করেন, “স্টেট সার্ভিসে যে কমিশনগুলো আছে, যদিও আমরা সবসময়, আমি বলছি না কী ব্যাপারে… হয় ত কেউ ভাল রেজাল্ট করেছে। অন্য জায়গা থেকে এসেছে। চাকরিটা সে পেয়ে গেল। কিন্তু লোকাল ছেলেটা পেয়ে গেল। তার কারণ, তার নম্বরটা কম। ফলে কী হচ্ছে সে যখন গর্ভমেন্টের ভাল জায়গায় গিয়ে কাজ করছে, সে কিন্তু ভাষাটা জানে না। ফলে একটা মানুষ যখন একটা বিডিও-র কাছে যাচ্ছে, বা এসডিও-র কাছে যাচ্ছে, বা একটা লাাইন ডিপার্টমেন্টের কাছে যাচ্ছে, বা একটা কোনও স্থানীয় প্রশাসকের কাছে যাচ্ছে, সে বাংলায় কথা বলছে তারা (প্রশাসক বা অফিসার) বাংলাটা বোঝেই না! ফলে না পারছে চিঠিটা পড়তে না পারছে উত্তরটা দিতে। সেখানে তাই লোকাল ল্যাঙ্গুয়েজ জানাটা মাস্ট।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আরও ভাষা কেউ জানতে পারেন। তাতে আপত্তিরও কিছু নেই। কিন্তু স্থানীয় ভাবে যেখানে কাজ করবেন সেই ভাষাটা জানা জরুরি। তা না হলে সমস্যার সমাধান হবে না। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, “তোমরা বসে কথা বলে এটা কোয়াইটলি দেখে নেবে। রিজিওনাল ল্যাঙ্গুয়েজটা জানতে হবে। তা না হলে কিন্তু জেলা, ব্লকে কাজ করা যাবে না।” এর পর মুখ্যসচিবও জানিয়ে দেন আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মতো এএ নিয়ে দেখছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের আঞ্চলিক এবং বাংলা ভাষা জানার উপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন তিনি যে ঘোষণা করলেন যে রাজ্যের চাকরি তা যেন সেই রাজ্যের মানুষই পান, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এ নিয়ে বাংলাপক্ষের প্রতিক্রিয়া, এটা তাদের বিরাট জয়। চাকরিতে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের কথা যে মুখ্যমন্ত্রী বললেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
