‘জাগো মা’ নয় ‘সেকুলার গা’ দাবি, গাইতে গিয়ে প্রায় মারের মুখে গায়িকা লগ্নজিতা
২০ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর এলাকায় স্টেজ শো করতে গিয়েছিলেন গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। সেখানে ঝামেলা বেঁধে গিয়েছিল। এক ব্যক্তি লগ্নজিতাকে 'সেকুলার গান' গাওয়ার দাবিতে প্রায় মারতে আসেন বলে গায়িকার দাবি। TV9 বাংলাকে লগ্নজিতা জানালেন, ''গতকাল আমার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর এলাকার সাউথ পয়েন্ট পাবলিক স্কুলে অনুষ্ঠান ছিল।

২০ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর এলাকায় স্টেজ শো করতে গিয়েছিলেন গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। সেখানে ঝামেলা বেঁধে গিয়েছিল। এক ব্যক্তি লগ্নজিতাকে ‘সেকুলার গান’ গাওয়ার দাবিতে প্রায় মারতে আসেন বলে গায়িকার দাবি। TV9 বাংলাকে লগ্নজিতা জানালেন, ”গতকাল আমার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর এলাকার সাউথ পয়েন্ট পাবলিক স্কুলে অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শুরু হয় সাতটায়। ৭টা থেকে ৭:৪৫ নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠান চলে। প্রথম তিনটে গানের পর ঠিক ভাবে আমার সম্বর্ধনাও সম্পন্ন হয় । ৭:৪৫ নাগাদ আমার গানের লিস্টের সপ্তম গান গাওয়া শেষ হয় এবং অষ্টম গানে যাওয়ার আগে যেরকম পরবর্তী গানে যাওয়ার আগে যে কোনও শিল্পী কথা বলেন সেরকম আমি কথা বলছিলাম। যে সপ্তম গানটি আমি গাওয়া শেষ করেছিলাম সেটি ছিলো বিগত দুর্গাপুজোয় মুক্তি পাওয়া ‘দেবী চৌধুরাণী’ ছবির গান ‘জাগো মা’।”
গায়িকা যোগ করেছেন, ”এই গান শেষ করে যখন অষ্টম গানে যাওয়ার আগে অডিয়েন্স এর সঙ্গে কথা বলছিলাম। উনি হঠাৎ দৌড়ে মঞ্চে আসেন এবং প্রায় আমার ঠোঁটের কাছে অবধি যখন চলে আসেন, তখন ২-৩ জন এসে ওঁকে থামান, আমি জানি না কে তাঁরা। যদিও উনি আমায় মারতে উঠেছিলেন, বাধা দেওয়ার কারণে উনি সেটা পারেন না। আমার হাতে মাইক্রোফোন ছিল, আমি দর্শকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, উনি যখন মারতে পারেননি, এবং ওঁকে যখন সবাই ধরে মঞ্চ থেকে নামাচ্ছেন, তখন উনি চিৎকার করে বলেন যে ‘অনেক জাগো মা হয়েছে, এবার একটু সেকুলার গা!’ ওঁর এই কথা মাইক্রোফোন এর বাইরেও শোনা গিয়েছে । সকলেই চিৎকার শুনতে পেয়েছেন।”
এমন পরিস্থিতি হওয়ার পর আর অনুষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি গায়িকা। তিনি বললেন, ”আমি এর পর মাইক্রোফোনে খুব শান্ত ভাবে জানাই, আপনারা সবাই দেখলেন কী হলো, এরপর তো আমার পক্ষে আর অনুষ্ঠান করা সম্ভব না, তাই আমি নেমে যাচ্ছি, থ্যাঙ্ক ইউ ফর দ্য ওয়ান্ডারফুল এক্সপিরিয়েন্স। এরপর আমি নেমে যাই এবং ভগবানপুর থানায় যাই, সবটা জানাই । ওঁরা আমায় একটা জেনারেল ডায়েরি করতে বলেন । আমি সেটা করি । ভদ্রলোকের নাম মেহেবুব মল্লিক, উনি এই স্কুলের মালিকদের মধ্যে একজন।” টলিপাড়ায় এই নিয়ে বিপুল চর্চা শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠান করতে গিয়ে গায়িকা এমন আক্রমণের মুখে পড়ার পর পুলিশের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা জানার অপেক্ষায় টলিপাড়ার পরিচিতরা।
