অখণ্ড বাংলার পক্ষে বিজেপি, বার্লাকে বোঝানো হচ্ছে: দিলীপ

রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা, অনুন্নয়ন, কর্মসংস্থানের অভাব, নিরাপত্তা ইত্যাদি ইস্যু তুলে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন সাংসদ জন বার্লা। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও হঁশিয়ারি দিয়েছেন।

অখণ্ড বাংলার পক্ষে বিজেপি, বার্লাকে বোঝানো হচ্ছে: দিলীপ
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Jun 20, 2021 | 4:10 PM

রায়গঞ্জ: “অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে বিজেপি। জন বার্লা (John Barla) যা বলেছেন দল তা সমর্থন করেনা।” উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তোলা আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

রবিবার রায়গঞ্জে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, জন বার্লার দাবির সঙ্গে দল একমত নয়। এমনকি আলিপুরদুয়ারের সাংসদকে এ নিয়ে ‘বোঝানো হচ্ছে’ বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা, অনুন্নয়ন, কর্মসংস্থানের অভাব, নিরাপত্তা ইত্যাদি ইস্যু তুলে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছেন সাংসদ জন বার্লা। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলেও হঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বার্লা প্রশ্ন তোলেন, “কী উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূল আমলে? খালি ডুয়ার্স, উত্তরকন্যা বানালে উন্নয়ন হয় না।” তিনি যোগ করেন, “আলিপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলায় কম করে সাড়ে তিনশো চা-বাগান রয়েছে। কিন্তু এখানকার মানুষ অন্য রাজ্যে চলে যান কাজের খোঁজে। কেন নিজের রাজ্যে কাজ পাবেন না, কেন পরিবারের সঙ্গে তাঁরা থাকতে পারবেন না।” এই সব কারণ দেখিয়ে ‘বঙ্গভঙ্গের’ দাবি তুললেও তাঁর সঙ্গে একমত নয় দল। এদিন এমনটাই দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: ‘শান্তি ও মুক্তি চাই’, পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি তুলে ব্যাখ্যা জন বার্লার

এদিকে বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসতে না পেরে বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে মন্তব্য রাখছেন। এই প্রেক্ষিতে এদিন বঙ্গ বিজেপির অবস্থান পরিষ্কার করলেন দিলীপবাবু। উল্লেখ্য, জন বার্লার দাবির প্রেক্ষিতে আগেই দল দূরত্ব তৈরি করেছিল। আর এদিন রাজ্য সভাপতি জানালেন, সাংসদকে তাঁরা ‘বোঝাচ্ছেন’।