BJP MLA: ‘বাবুল দলে অসম্মানিত হয়েছেন’, ফের ‘বেসুরো’ রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক!

Raiganj: নির্বাচনের পরে একের পর এক বেসুর বাজতে শুরু করেছেন পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতানেত্রী। শুরু হয়েছিল সোনালী গুহ, সরলা মুর্মুদের দিয়ে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে চিঠি লিখে নিজেদের 'ভুলের' কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তাঁরা।

BJP MLA: 'বাবুল দলে অসম্মানিত হয়েছেন', ফের 'বেসুরো' রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক!
বেসুরো বিজেপি বিধায়ক, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2021 | 11:01 PM

উত্তর দিনাজপুর: বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) পরেই ফের তৃণমূলে ফিরেছেন আরও এক সাংসদ সুনীল মণ্ডল। এ বার ফের বেসুরো বাজতে শুরু করেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) কৃষ্ণ কল্যাণী। বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদানকে কেন্দ্র করে কার্যত গেরুয়া শিবিরকেই প্রকারান্তরে দায়ী করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। এর আগে ‘মুকুল-ঘনিষ্ঠ’ কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।

রবিবার, বাবুল সুপ্রিয়র দলবদল প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) বলেন, “বাবুল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত। তবে একজন লোক তো এমনি এমনি দল ছাড়েন না। দলে যথাযথ সম্মান না পেলে দলত্যাগ তো করবেনই। বাবুলও তাই করেছেন। তিনি যোগ্য সম্মান পাননি। দলে বারবার অসম্মানিত হয়েছেন। তাই দল ছেড়েছেন।”

এখানেই থামেননি বিধায়ক, তিনি আরও বলেন, “আমি দলের কাছে আমার মতামত জানিয়েছি। দল ঠিক করবে যে জেলা সংগঠনে নজর দেবে না আমার কথায় অধিক গুরুত্ব দেবে। আমি এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। দলের উচ্চ নেতৃত্বের উপর তা নির্ভর করে। দলে কাজ করতে কেবল আমার নয়, অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে। তাই সিদ্ধান্তটা আপাতত দলের উপর ছেড়েছি। সেই ভিত্তিতেই আমি চূড়ান্ত পদক্ষেপ করব।”

উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, আগেও একাধিকবার দলের সঙ্গে তাঁর বিরোধের সুর স্পষ্ট করেছেন বিজেপি বিধায়ক। রায়গঞ্জে জেলা নেতৃত্বের কোনও কর্মসূচিতে না থাকার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। পরে বিধায়কের দলীয় কার্যালয়ে রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ছবি ঢেকে দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মন্ত্রিত্ব খোয়ানোয় সাংসদ ‘মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন’ বলেও কটাক্ষ করেন কৃষ্ণ। পাল্টাা দেবশ্রী বলেছিলেন, “ওঁর মাথা পুরো খারাপ হয়ে গিয়েছে।” এ বার সরাসরি কার্যত দলের বিরুদ্ধে সুর প্রকট করায় প্রশ্ন উঠছে তাহলে সত্যিই কি দল বদলাতে চলেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী?

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকার বলেন, “এই বিষয়ে আমরা বিশেষ চিন্তিত নই। ইতিমধ্যেই কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক দলে এসেছেন। বাবুল সুপ্রিয়র মত সুপরিচিত নেতা আমাদের হাতে হাত মিলিয়েছেন। বিজেপি এ রাজ্যে  বিশেষ কোনও  লাভ করতে পারবে না এটা বুঝে গিয়েছে। আর উত্তর দিনাজপুরও কোনো ব্যতিক্রম নয়, বাকিটা সময়ের অপেক্ষা।”

উল্লেখ্য, নির্বাচনের পরে একের পর এক বেসুর বাজতে শুরু করেছেন পদ্ম শিবিরের একাধিক নেতানেত্রী। শুরু হয়েছিল সোনালী গুহ, সরলা মুর্মুদের দিয়ে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে নিজেদের ‘ভুলের’ কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু দল তাঁদের ফেরাবে কি না তা স্পষ্ট ছিল না। পরে তৃণমূলে ফিরেছেন স্বপুত্র মুকুল রায়। শাসক শিবিরে ফিরবেন বলে পা বাড়িয়ে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ইতিমধ্য়েই দলে ফিরেছেন সুনীল মণ্ডল থেকে শুরু করে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত্‍ দাস-সহ অনেকেই। পাশাপাশি, বুথস্তরীয় যোগদান তো রয়েইছে। সদ্যই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কার্যত বিপরীতে কথা বলেছেন খড়গপুরের তারকা বিধায়ক হিরণ। এ বার রায়গঞ্জের বিধায়কের এ হেন মন্তব্যে ফের বিজেপিতে ভাঙনের আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও এই ঘটনায় জেলা বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘পুরনো কথা’ ভুলে ‘ভাল ছেলে’ বাবুলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজে আগ্রহী অনুব্রত!

আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari: সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরেছে মোদী-পদ্মের ছবি, জিতেন্দ্রর গতিপ্রকৃতিতে জল্পনা!