Chopra: ‘তালিবানি অত্যাচার’ তৃণমূল নেতার, তিলকে তাল বললেন বিধায়ক
Chopra: চোপড়ার তালিবানি নৃশংসতার দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেছিলেন এক ব্যক্তি। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। সেটাকেই এখন প্রামাণ্য হিসাবে ধরছে প্রশাসন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক যণ্ডা মার্কা যুবক এক যুবতীকে রাস্তায় ফেলে একেবারে তালিবানি কায়দায় মারধর করছেন।
চোপড়া: চোপড়ায় তালিবানি নৃশংতা। লাঠির গোছা নিয়ে এক মহিলার পশ্চাতদেশে, বগলে মার দিচ্ছেন ‘বাহুবলী’ যুবক। ভয়ঙ্করতম অভিযোগের সেই দৃশ্য ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় সর্বত্র। উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রশাসনও। আর তার মধ্যে যাঁর এলাকায় ঘটনা ঘটেছে, যিনি সেই এলাকার বিধায়ক, সেই হামিদুল রহমানের বক্তব্য, বিষয়টা নিয়ে নাকি ‘তিলকে তাল বানানো হচ্ছে।’
চোপড়ার তালিবানি নৃশংসতার দৃশ্য মোবাইল বন্দি করেছিলেন এক ব্যক্তি। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা। সেটাকেই এখন প্রামাণ্য হিসাবে ধরছে প্রশাসন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক যণ্ডা মার্কা যুবক এক যুবতীকে রাস্তায় ফেলে একেবারে তালিবানি কায়দায় মারধর করছেন। মাটিতে পড়ে আরেক যুবক। একই কায়দায় পেটানো হচ্ছে তাঁকেও। অভিযোগ, ওই যুবতীর সঙ্গে যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। আর সে কারণেই গ্রামে বাহুবলী নেতা জেসিবি সালিশি সভার ডাক দেন। সেই সভার নাম দেন ইনসাফ সভা। সেখানেই ঘটে বর্বরোচিত ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, জেসিবি এলাকার প্রভাবশালী নেতা। তিনি বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হামিদুল রহমান। এলাকায় জেসিবি-র এমন প্রভাব, যে তাঁর কথাতেই সকলে ওঠেবসে। স্থানীয় বাসিন্দারা এমনও বলছেন, জেসিবি-র ভয়ে নাকি পুলিশ প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে পারেননা কেউই।
মূল অভিযুক্ত বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায়, TV9 সরাসরি যোগাযোগ করেছিল হামিদুল রহমানের সঙ্গেই। বিধায়কের বক্তব্য, “আমি হোয়াটসঅ্যাপে এই ভিডিয়ো দেখেছি। ১ ঘণ্টা আগে ভিডিয়োটা দেখেছিলাম।” তাহলে এই ভিডিয়ো দেখার পরও কী পদক্ষেপ করেছেন তিনি? প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, “আমি জেসিবি-দের ডেকে পাঠিয়েছি। শুনতে হবে কী হয়েছিল আসলে। সবাই তৃণমূলের।” জেসিবি-র নাম উঠতেই কার্যত তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন বিধায়ক। পাল্টা সংবাদমাধ্যমকেই প্রশ্ন করেন, “এটা নিয়ে তিলকে তাল করছেন কেন?” বলেই ফোনটা কেটে দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আবারও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন আর তোলেননি। বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলায় এ ধরনের অজস্র ঘটনা ঘটে। কিন্তু অপরাধগুলোকে চেপে দেওয়া হয়। বারাসতের একটি ছেলে বিয়ে করেছিল ভিন ধর্মের মেয়েকে। সে যখন এক বছরের শিশুপুত্রকে দেখতে শ্বশুরবাড়িতে গেল, তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভ্যানচালক তাঁকে তুলি নিয়ে গিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি করান। এখন হাইকোর্টে মামলা চলছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটছেই। বিধায়ক তাঁকে চিনবেই। ব্যক্তিগত মানসিকতার কারণে হয়নি।” এক্স হ্যান্ডেলে এই ছবি পোস্ট করে নিন্দা করেছেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম।