Panihati Women Harassment: কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়াই হল ‘অপরাধ’, মহিলাকে ফিনাইল খাইয়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন
Panihati: পানিহাটির নিউ কলোনির বাসিন্দা বাপ্পা দত্ত। দীর্ঘ বারো বছর আগে দমদমের বাসিন্দা রত্না দত্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
উত্তর ২৪ পরগনা: বিয়ে হয়েছিল প্রায় বারো বছর আগে। তার দু’বছর পর হয় কন্যা সন্তান। তবে মেয়ে হয়েছে মেনে নিতে পারেনি স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। গৃহবধূকে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় ওই ব্যক্তি সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পানিহাটির নিউ কলোনির বাসিন্দা বাপ্পা দত্ত। দীর্ঘ বারো বছর আগে দমদমের বাসিন্দা রত্না দত্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের দু’বছর পর দত্ত দম্পতির এক কন্যা সন্তান হয়। অভিযোগ, মেয়ে হওয়ার পর থেকেই অত্যাচারের শিকার হতে হত ওই গৃহবধূকে। স্বামী বাপ্পা দত্তের সেভাবে রোজগার ছিল না। তাই নিয়ে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের হাতে অত্যাচারের শিকার হতে হত ওই মহিলাকে। অভিযোগ, নির্যাতিতা মহিলাকে নাকি শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা তার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ দিত, আর তাদের দাবি মত কাজ না হলে গৃহবধূর উপর অত্যাচার করত।
বুধবার সেই অত্যাচার পৌঁছায় চরম মাত্রায়। অভিযোগ, রত্না দত্তের শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। শেষে জোর করে ফিনাইল খাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গৃহবধূর মা দিপালী কর্মকার ও তাঁর পরিবারের লোকজন এই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূ রত্না দত্তকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ইতিমধ্যে ওই গৃহবধূ রত্না দত্তের শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খড়দহ থানায়। তবে এখনও পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই ঘটনায় কেন দোষীরা গ্রেফতার হল না এই নিয়ে খড়দহ থানার ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এই বিষয়ে গৃহবধূর দিদি বলেন, “আমরা ভাল পরিবার দেখেই বিয়ে দিয়েছিলাম। প্রথমে ঠিকঠাক চলছিল। এরপর বোনের মেয়ে হতেই বলে সন্তানকে মেনে নেব না। তারপর থেকেই আমার বোনের উপর অত্যাচার করতে থাকে। গতকাল ওকে ফিনাইল খাইয়ে দেয়। আমার খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু পুলিশ এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি।”
আরও পড়ুন: Halisahar Bombing: হালিশহরে ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতেই ‘বোমাবাজি’
আরও পড়ুন: Basanti Bomb Blast: বাড়িতেই রাখা ছিল বোমা, তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে গ্রেফতার নিজেরই ভাই