Basanti Bomb Blast: বাড়িতেই রাখা ছিল বোমা, তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে গ্রেফতার নিজেরই ভাই
Basanti: গতকাল কালে আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বাসন্তীর ওই এলাকা।ঠাৎ বিকট শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রায় সকলে।
বাসন্তী: মঙ্গলবার সকাল-সকাল কেঁপে উঠেছিল বাসন্তী (Basanti)। হঠাৎ এমন বিকট শব্দে থতমত খেয়ে গিয়েছিল গোটা গ্রাম। পরে দেখা যায় এলাকারই এক যুব তৃণমূল হামিজ উদ্দিন সর্দারের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে গোটা ঘর আগুন লেগে পুরো ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় হামিজ উদ্দিন সর্দারের ভাই তৃণমূল কর্মী ফারুক সর্দারের। বোমা বিস্ফোরণের সেই ঘটনায় গ্রেফতার খোদ হামিজ উদ্দিন। নিজের বাড়িতে বোমা মজুত রাখা ও বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বুধবার তাকে গ্রেফতার করেছে। ইতিমধ্যে তাকে আলিপুর আদালতে পাঠিয়েছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার ফুল মালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ নম্বর সর্দার পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ওই এলাকা নিয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশকে। কারণ সেটি স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবেই পরিচিত। এর আগেও নাকি গোলাগুলি, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তারপরও কীভাবে এত বোমা মজুত হল ওই এলাকায়, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
গতকাল আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বাসন্তীর ওই এলাকা। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রায় সকলে। এরপর শব্দের উৎস সন্ধানে গিয়ে সকলে দেখেন, প্রতিবেশী হামিউদ্দিন সর্দার ও মফিজউদ্দিনের বাড়িতে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলছে। বিস্ফোরণের জেরে উড়ে গিয়েছে বাড়ির দেওয়াল। খড়ের চাল পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। কিছুক্ষণ পর আগুন নেভানো হয়। প্রথমে আহত কেউ রয়েছেন কি না, তার খোঁজ মিলছিল না। পরে ধান ক্ষেতের মধ্যে থেকে উদ্ধার হন ফারুক। ঝলসে গিয়েছিলে তিনি। উপুড় হয়ে পড়ে ছিলেন ধান ক্ষেতের মধ্যেই। তখনও প্রাণ ছিল ধড়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ফারুকের। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাঁকে।
যদিও, গতকাল ফারুকের দিদি সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানায়, “এলাকাবাসী আমায় বলে তোমার ভাইয়ের ঘর জ্বলেছে। চারিদিকে লোকে-লোকারন্য। বাজারে আমাদের কিছু জায়গা ছিল। সেটা দখল করে নিয়েছে আমার অন্য ভাইরা। আমার ভাইকে মেরে ফেলে সবটা দখল করতে চাইত ওরা। আজকে বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই শেষ করে দিল। আমার ভাই শান্তিপ্রিয়। ও যুব তৃণমূল করত। গণ্ডগোল হলেই সে ফোন করত পুলিশকে। কিন্তু চলে গেল।”
আরও পড়ুন: Accident in Salt Lake: সেক্টর ফাইভে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, স্কুটি চালককে পিষে দিয়ে পালাল স্কুল বাস