Basanti Bomb Blast: ঝলসে গিয়েছিল হাত-মুখ, বোমা বিস্ফোরণের ৭ ঘণ্টা পর মৃত্যু বাসন্তীর সেই যুবকের
Basanti: মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ওই এলাকা নিয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশকে। কিন্তু তারপরও কীভাবে এত বোমা মজুত হল ওই এলাকায়, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বোমা বিস্ফোরণে ঝলসে গিয়েছিল যুবকের গোটা শরীর। পুড়ে গিয়েছিল হাত-মুখ। দীর্ঘ প্রায় ছয়ঘণ্টা পর যখন এলাকাবাসীর চোখে পড়ে তখন শেষের পথেই। তবুও শেষ চেষ্টা করা হয়েছিল। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে বাঁচানো গেল না। মৃত্যু হল ফারুক সর্দারের। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। পথেই শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ফারুকের দিদি কাঁদতে-কাঁদতে বলেন, “এলাকাবাসী আমায় বলে তোমার ভাইয়ের ঘর জ্বলেছে। চারিদিকে লোকে-লোকারন্য। বাজারে আমাদের কিছু জায়গা ছিল। সেটা দখল করে নিয়েছে আমার অন্য ভাইরা। আমার ভাইকে মেরে ফেলে সবটা দখল করতে চাইত ওরা। আজকে বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই শেষ করে দিল। আমার ভাই শান্তিপ্রিয়। গণ্ডগোল হলেই সে ফোন করত পুলিশকে। কিন্তু আজকে… ”
কী ঘটেছিল? মঙ্গলবার সকালে আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রামেক ১১ নম্বর সর্দার পাড়া গ্রাম। সেই সময় গ্রামবাসীরা যে যাঁর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রায় সকলে। এরপর শব্দের উৎস সন্ধানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, প্রতিবেশী হামিউদ্দিন সর্দার ও মফিজউদ্দিনের বাড়িতে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলছে। বিস্ফোরণের জেরে উড়ে গিয়েছে বাড়ির দেওয়াল। খড়ের চাল পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল। কিছুক্ষণ পর আগুন নেভানো হয়। প্রথমে আহত কেউ রয়েছেন কিনা, তার খোঁজ মিলছিল না। পরে ধান ক্ষেতের মধ্যে থেকে উদ্ধার হন ফারুক। ঝলসে গিয়েছিলে তিনি। উপুড় হয়ে পড়ে ছিলেন ধান ক্ষেতের মধ্যেই। তখনও প্রাণ ছিল ধড়ে।
যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি স্পর্শকাতর এলাকা। এর আগেও নাকি গোলাগুলি, বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং ওই এলাকা নিয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশকে। কিন্তু তারপরও কীভাবে এত বোমা মজুত হল ওই এলাকায়, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
সূত্রের খবর, বাসন্তীর একাধিক এলাকা স্পর্শকাতর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যুব তৃণমূল যাঁরা করেন, তাঁরাই মূলত বোমা বাঁধছিলেন। তা থেকেই বিস্ফোরণ। এর আগেও ওই এলাকায় খুন হয়েছে। নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর জন্য বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। যদিও, গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।