Uttar Dinajpur: গ্রেফতারি পরোয়না জারি হওয়া ব্যক্তির হঠাৎ মৃত্যু, ফের কাঠগড়ায় পুলিশ
Murder Case: মৃতের নাম ওসমান আলি (৫২)। সূত্রের খবর, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ওই ব্যক্তিকে ধরতে যায় পুলিশ। কিন্তু, পুলিশকে দেখায় পালাতে শুরু করে ওসমান।

হেমতাবাদ: কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) রাধিকাপুরে গুলিকাণ্ডে মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের মৃত্যুর পরে ফের কাঠগড়ায় পুলিশ (Police)। এবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলদিঘি গ্রামে এক ব্যক্তিকে ‘খুনের’ (Murder) অভিযোগ উঠল পুুলিশের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নামে জারি ছিল গ্রেফতারি পরোয়ানা। এ ঘটনায় ইতিমধ্য়েই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে মৃতের পরিবারের। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।
মৃতের নাম ওসমান আলি (৫২)। সূত্রের খবর, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ওই ব্যক্তিকে ধরতে যায় পুলিশ। কিন্তু, পুলিশকে দেখায় পালাতে শুরু করে ওসমান। পুলিশও তাঁকে ধাওয়া করে। কিন্তু, তারপর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি বলে খবর। রাতেও বাড়ি ফেরেনি। এরপর শনিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ওই গ্রামেরই একটি জমিতে। পরিবারের দাবি, পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে ওই ব্যক্তিকে। ইতিমধ্যেই ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিশ। বেলদিঘী গ্রামে বসেছে পুলিশ পিকেট।
ঘটনাস্থলে রয়েছেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। কথা বলছেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। কথা বলছেন মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। তবে পুলিশের তদন্তে ভরসা নেই পরিবারের। সেকারণেই তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি করছেন তাঁরা। মৃতের আত্মীয় রফিকুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ওকে ধাওয়া করছিল। তারপর থেকে ও আর বাড়িতে ফেরেনি। ফোন করেছিলাম অনেক বার। কিন্তু পাওয়া যায়নি। আজ সকালে দেখা যায় এই ঘটনা। তাই ঘটনার জন্য আমরা পুলিশকেই সন্দেহ করছি। আমরা চাই সিবিআই তদন্ত করুক। আসল সত্য বের করে আনুক। যখন মৃতদেহ আমরা দেখি তখন দেখা যায় ওর মুখে রক্ত, গায়ে রক্ত। মাঠের আশেপাশেও রক্ত পড়ে রয়েছে। পুলিশও ওকে মারতে পারে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। পুলিশি তদন্তে আমাদের ভরসা নেই। সে কারণেই সিবিআই তদন্তের দাবি করছি।”
