Raiganj Robbery : বাড়ি ভর্তি লোক, কুছ পরোয়া নেহি! চোখের সামনেই লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের

Raiganj Robbery : পূজা দেবীর চিৎকার শুনেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর যায় রায়গঞ্জ থানায়।

Raiganj Robbery : বাড়ি ভর্তি লোক, কুছ পরোয়া নেহি! চোখের সামনেই লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2023 | 8:01 AM

রায়গঞ্জ : পাশেই থানা। কিন্তু, কিছু পরোয়া নেহি। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দুরত্বে গৃহস্থের বাড়িতে হয়ে গেল দুঃসাহসিক ডাকাতি (Robbery)। বাড়িতে গৃহকর্ত্রী থাকলেও তাঁর চোখের আড়ালেই আলমারি খুলে হাত সাফাই। বাধা দিতে গেলে গৃহকর্ত্রীর হাতে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে চম্পট দুস্কৃতীদের। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের কুমারডাঙ্গি এলাকায়। খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। রায়গঞ্জ শহরের কুমারডাঙি এলাকার বাসিন্দা পূজা সিং দাসের দাবি, ওই সময় বাড়িতেই ছিলেন তিনি। নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলেন অন্য ঘরে। কিন্তু, সে সময় আচমকাই পাশের ঘরে আওয়াজ হওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। কিন্তু বন্ধ ঘরে বাইরে থেকে না জানিয়ে কেই বা আসবে বা ঢুকবে? এ কথা ভেবে যেই না আশ্বস্ত হতে যাবেন তখনই চোখ কপালে উঠল তাঁর। ঘরের কাছে যেতেই দেখেন ঘরের দুদিকেই দরজা খোলা। আর ঠিক সে সময়েই দুজন দুস্কৃতী ভারী বস্তু দিয়ে তাঁকে সজোরে আঘাত করে ঘর থেকে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ টাকা চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ।

পূজা দেবীর চিৎকার শুনেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর যায় রায়গঞ্জ থানায়। ছুটি আসে পুলিশ। কিন্তু দুষ্কৃতীদের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। ঘর থেকে বড় অঙ্কের সোনার গয়না ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনায় স্বভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে। এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। 

ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিবেশী পারমিতা দাস বলেন, “আমি প্রথমে একটা চিৎকার শুনি ওদের বাড়ি থেকে। তখনও বুঝতে পারিনি কী হয়েছে। ছুটে যাই ওদের বাড়িতে। গিয়ে দেখি আলমারি খোলা। অনেক জিনিপত্র পড়ে রয়েছে। দেখে মনে হল অনেক জিনিস চুরি হয়ে গিয়েছে। এর আগে এই এলাকায় অনেক ছোটখাটো চুরি হয়েছে। কিন্তু এতবড় ডাকাতি এর আগে হয়নি। আমিও তো বাড়িতে সন্ধ্যার পর একাই থাকি। এ ঘটনা দেখে আমরাও ভয়ে রয়েছি। পুলিশি টহলদারি বাড়ুক এলাকায় আরও। এটাই চাইছি।”