Kartick Chandra Paul: রায়গঞ্জে পদ্ম ফোটালেন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির ‘ছাত্র’, জানেন কে কার্তিক?

Kartick Chandra Paul: বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাস মুন্সীর হাত ধরে ছাত্র রাজনীতি করেছেন তিনি। প্রিয় রঞ্জন রাজনীতিতে থাকাকালীনই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। পরবর্তীতে কার্তিক ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলত, বোর্ড হাতে চলে যায় ঘাসফুল শিবিরের। এরপর তিনি চেয়ারম্যান হন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার তৃণমূলের বোর্ডে।

Kartick Chandra Paul: রায়গঞ্জে পদ্ম ফোটালেন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির 'ছাত্র', জানেন কে কার্তিক?
অনগামীদের সঙ্গে সেলফি তোলার মেজাজে কার্তিক চন্দ্র পাল, জয়ী বিজেপি প্রার্থীImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2024 | 4:54 PM

এক সময়ের কংগ্রেসের গড় হিসাবে পরিচিত ছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ লোকসভা। পরে বামেদের দাপট থাকলেও, এই আসনে দেবশ্রী চৌধুরীকে প্রার্থী করে পদ্ম ফুটিয়েছিল বিজেপি। তবে এবার সেখানে দেবশ্রী না দাঁড়ালেও বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের হাত ধরে আসন কিন্তু অক্ষত রাখল পদ্ম শিবির। তাঁর কাছে পরাজিত হলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী। কার্তিক হলেন সেই ব্যক্তি যিনি দায়িত্বের সঙ্গে সামলেচ্ছেন কাউন্সিলরের পদ। সেই তাঁরই উপরই দল দিয়েছিল গুরু দায়িত্ব। কারণ কার্তিকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ তথা তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। ফলে কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত থেকে রায়গঞ্জ আসন জিতিয়ে আনা ছিল তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জের। কিন্তু ফল প্রকাশের বোঝা গেল চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেননি তিনি।

কত ভোট পেয়েছেন কার্তিক?

নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিজেপির কার্তিক চন্দ্র পাল পেয়েছেন ৫,৬০৮,৯৭। আর তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রাপ্ত আসন ৪,৯২৭,০০।

কীভাবে উত্থান কার্তিকচন্দ্র পালের?

বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাস মুন্সির হাত ধরে ছাত্র রাজনীতি করেছেন তিনি। প্রিয়রঞ্জন রাজনীতিতে থাকাকালীনই কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। পরবর্তীতে কার্তিক ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এরপর কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার তৃণমূলের বোর্ডে চেয়ারম্যান হন তিনি।

প্রথম থেকেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এরপর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দিলে তাঁর সঙ্গে-সঙ্গে তিনিও যোগ দেন পদ্ম শিবিরে। শেষ পৌরসভা নির্বাচনেও কার্তিক জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি-র টিকিটে। কাউন্সিলর হন কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের। এরপর সরাসরি সেখান থেকে তাঁকে সাংসদ পদের জন্য প্রার্থী করে বিজেপি।

গতবার এই আসনে পদ্ম ফুটলেও জয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া ছিল তৃণমূল। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া কৃষ্ণকল্যাণীকে প্রার্থী করে ঘাসফুল শিবির। তবে হল না। পদ্ম শিবিরের জয়ের ধারা বজায় রাখলেন বিজেপির কার্তিক। প্রশ্ন ওঠে তবে কি কৃষ্ণকল্যাণীর বারবার দলবদল মেনে নেয়নি রায়গঞ্জের মানুষ? কারণ একসময় তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পরে ফের দলবদল করে আসেন তৃণমূলে। ফলে কৃষ্ণ কল্যাণীর উপর আস্থা রাখতে না পেরেই কি কাউন্সিলরকে সাংসদ হিসাবে বেছে নিলেন রায়গঞ্জবাসী? প্রশ্ন থেকেই গেল।