উত্তর দিনাজপুর: ‘কে মালিক?’ গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন। ক্যাম্পাস চত্বরে থাকা মালিকবিহীন নীলবাতি গাড়িটি (Suspicious Car) কার তা নিয়েই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গত পাঁচদিন ধরে একইভাবে ক্যাম্পাস চত্বরে পড়ে রয়েছে গাড়িটি। কিন্তু, গাড়ির মালিকের কোনও খোঁজ মিলছে না। দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরাও কিছু সেভাবে বলতে পারছেন না। ঘটনাটি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের। যার জেরে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও।
করোনা পরিস্থিতি আপাতত বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের ৪ নম্বর গেটের কাছে থাকা গ্যারেজে একটি নীল বাতি লাগানো গাড়ি দেখতে পান অনেকে। কে বা কারা এই গাড়ি (Suspicious Car) রেখেছে তা বুঝতে পারছেন না কেউই। নীল বাতি লাগানো থাকলেও কোনও বিভাগ বা অন্য কোনওরকম কোন নাম না লেখা থাকায় গাড়িটির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি, গাড়িটি নাশকতার জন্য় রাখা হয়েছে কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
নিরাপত্তার জন্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে রয়েছে সিসিক্যামেরা। ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীদেরও। কিন্তু, তারপরেও লোকচক্ষুর আড়ালে কীভাবে এই গাড়ি ক্যাম্পাস চত্বরে এল এমনকী, পাঁচদিন ধরে থেকে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই সন্দেহ করছেন গাড়িটি কোনও ভুয়ো আধিকারিকের হলেও হতে পারে।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ইন চার্জ তাপস মহন্তের কথায়, ‘‘গত তিন থেকে চার দিন ধরে একটা গাড়ি পড়ে আছে ক্যাম্পাসে। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। নিরাপত্তারক্ষীরাও বলতে পারছেন না কী ভাবে গাড়িটি ক্যাম্পাসের মধ্যে এল। নিরাপত্তারক্ষীদের গাফিলতি হয়েছে কি না আমরা তা খতিয়ে দেখব। নীল বাতি লাগানো গাড়ি ক্যাম্পাসে রয়েছে অথচ নিরাপত্তারক্ষীরা বলতে পারছেন না, এটা আশ্চর্যজনক ঘটনা।’’
অন্য়দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তপন নাগ বলেন, “আমরা এখানে এসেই প্রথম গাড়িটি দেখতে পাই। কে বা কারা রেখে গিয়েছে কিছুই জানা নেই। আমরা রেজিস্টারকেও চিঠি লিখে জানিয়েছি। দিনপাঁচেক ধরে শুনছি গাড়িটা এখানেই পড়ে রয়েছে। করোনার জন্য বিশ্ববিদ্য়লয়ে ছেলেমেয়েরা আসে না। গুটিকয়েক আধিকারিক ও কর্মীরাই আসেন। সেখানে কারুর গাড়ি হলে এতদিন পড়ে থাকার কথা নয়। আমরা যথেষ্ট শঙ্কিত। বিষয়টা পুলিশেও জানানো হয়েছে। আশা করছি সমাধান হবে। ”
রায়গঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কার গাড়ি তা এখনও স্পষ্ট নয়। গাড়ির নম্বর প্লেটটি পরীক্ষা করা হয়েছে। মালিকের সন্ধান চলছে। প্রসঙ্গত, রাজ্য়ে একের পর এক ভুয়ো আধিকারিকদের জালচক্রের পর্দাফাঁস হয়েছে একে একে। সেই তালিকায় এ বার এই রহস্যময় গাড়িটিও কি না তা নিয়ে ধন্দে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: Mangokot: ‘খুন করতে চাইনি, বাধ্য করা হয়েছিল’, তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ডে স্বীকারোক্তি ধৃত সুরজের
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: উত্তরবঙ্গ সফর শেষেই গোয়ায় পাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর, সাগরপারে ঘর গোছাতে ব্যস্ত তৃণমূল