Raiganj: সন্ধ্যা হলেই হানা দিচ্ছে ওঁরা, বাড়ির বাইরে কল থাকলেই খাঁড়া নামছে গৃহকর্তার ঘাড়ে! জলই যেন শত্রু, কেন?
Raiganj: বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরজুড়ে ব্রাউন সুগার-সহ বিভিন্ন নেশায় মত্ত হয়ে থাকছে যুব সমাজ। আর যে কারণে অর্থের লোভে লোকচক্ষুর আড়ালে এই সরকারি সম্পত্তিও চুরি করে নিচ্ছে নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও আখেরে কোনও সমাধান হয়নি বলে দাবি।

রায়গঞ্জ: বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের সরকারি ট্যাপ মিটার-সহ নানা যন্ত্রাংশ রাতারাতি চুরি হয়ে যাচ্ছে। সংযোগ দেওয়ার পরই উধাও হয়ে যাচ্ছে। রায়গঞ্জ শহর জুড়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই একই সমস্যা। যার জেরে আতঙ্কিত এবং ক্ষুব্ধ রায়গঞ্জবাসী।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরজুড়ে ব্রাউন সুগার-সহ বিভিন্ন নেশায় মত্ত হয়ে থাকছে যুব সমাজ। আর যে কারণে অর্থের লোভে লোকচক্ষুর আড়ালে এই সরকারি সম্পত্তিও চুরি করে নিচ্ছে নেশাগ্রস্তরা। স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও আখেরে কোনও সমাধান হয়নি বলে দাবি।
এদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বাম বিজেপি একত্রে পুরসভা ও প্রশাসনকে একহাত নিয়েছে। সিপিআইএমের দাবি, এসব চুরির পেছনে “পাতাখোর”-রা আছে এটা প্রশাসনও জানে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ হচ্ছে না। এরজন্য তৃণমূলই দায়ী।
পাশাপাশি বিজেপির দাবি, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌছে দেওয়া কেন্দ্রের প্রকল্প। সুতরাং সব যন্ত্রাংশ কেন্দ্রীয় সরকারি সম্পত্তি। চুরি হলে নীরব থাকছে প্রশাসক বা প্রশাসন। কারণ টেন্ডার করে কাটমানি নিয়ে কেন্দ্রের টাকা লুটেপুটে খাওয়ার পরিকল্পনা। মানুষের পরিষেবা দেওয়া তৃণমূল পরিচালিত পুর প্রশাসক বোর্ডের উদ্দ্যেশ্য নয়। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি।
যদিও রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসের বক্তব্য, “এনিয়ে প্রশাসনিকভাবে ভাঙড়ির দোকানিদের সঙ্গে আলোচনা হবে। যাতে কেউ চুরি করে বিক্রি করতে গেলে না কেনা হয়।” আর বিরোধীদের আক্রমণ করে তার পালটা বক্তব্য, “এই প্রকল্প সম্পন্ন হলে বিরোধীরা বলবে কেন্দ্র করল, আর ব্যর্থ হলে বলবে সরকার করতে পারল না। বিরোধীদের কথায় আমরা আমল দিচ্ছি না, কীভাবে সমস্যা মেটানো যায় সেদিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে বিরোধীদের কটাক্ষ আর তার প্রেক্ষিতে প্রশাসকের এই মন্তব্য রাজনীতির রসদ হলেও শাসক বিরোধী দ্বন্দ্ব ভুলে সঠিক উন্নয়ন কবে হবে সেদিকেই তাকিয়ে শহরবাসী।

