Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বিরোধী এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেব না, আমরাই কেন্দ্রীয় বাহিনী,’ হুমকি তৃণমূল নেতার

মাঝিয়ালী এলাকায় বিরোধী বলতে কেউ নেই, তাই বিরোধী এজেন্টদের আসার কোনও প্রশ্ন নেই, সাফাই তৃণমূল নেতার

'বিরোধী এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেব না, আমরাই কেন্দ্রীয় বাহিনী,' হুমকি তৃণমূল নেতার
ছবি: প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Mar 07, 2021 | 7:34 PM

উত্তর দিনাজপুর: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গিয়েছে গত সপ্তাহে। প্রচারে ঝড় তুলেছে সব রাজনৈতিক দল। এর মধ্যেই হুমকি-ভাষণ দিয়ে গিয়ে বিতর্কে জড়াচ্ছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে বিদায়ী বিধায়ক। এবার বিরোধী এজেন্টদের বুথে না বসার দিয়ে হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন চোপড়ার তৃণমূল নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল তাঁর ভিডিয়ো। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাতে চলেছে বিরোধীরা।

“পঞ্চায়েতের মত বিধানসভাতেও বিরোধী এজেন্টদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হবে না। আমরাই কেন্দ্রীয় বাহিনী।” গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুরে তৃণমূলের এক কর্মিসভায় এই ভাষাতেই মন্তব্য করতে শোনা যায় মাঝিয়ালী অঞ্চল তৃণমূল কমিটির চেয়ারম্যান একরামুল হককে। তাঁর হুঁশিয়ারি, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো বিধানসভাতেও বিরোধী এজেন্টদের বুথের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও ব্যাপার নয়, আমাদের কর্মীরাই কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমরাই ভোট পরিচালনা করব।”

তাঁর এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় চোপড়ার রাজনৈতিক মহলে। চোপড়ায় একের পর এক বিধায়ক থেকে শুরু করে নিচুতলার নেতার এই শাসানির বক্তব্যের জন্য নির্বাচনকে ঘিরে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতারা। বিজেপি নেতা অসীম বর্মন জানান, “আমরা এই ধরনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাই। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাব।” কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে বুথ দখল করেছিল এবারও সেই পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। আসলে তৃণমূল সন্ত্রাস করে এই বিধানসভায় জিতে আসছে। এবার যদি সঠিকভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয় তবে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাবে। এই আশঙ্কাতেই তাদের নেতারা এই ধরনের হুমকিমূলক বক্তব্য রাখছেন।”

এদিকে যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হমকি দেওয়ার অভিযোগ, সেই একরামুল হকের যুক্তি, মাঝিয়ালী এলাকায় বিরোধী বলতে কেউ নেই। তাই বিরোধী এজেন্টদের আসার কোনও প্রশ্ন নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী তার নিজের মত কাজ করবে। আমাদের কর্মীরাও কোন অংশে কম নয়। তারাও দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মতো কাজ করবে।

আরও পড়ুন: প্রার্থী না করার অভিমানে দলত্যাগ মন্ত্রী রত্না ঘোষ করের

যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ধরনের বক্তব্যের ঘোর বিরোধিতা করেন চোপড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রীতি রঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন অনেক নেতার ভাষাজ্ঞান নেই। তাই এই ধরনের মন্তব্য করে থাকতে পারে কেউ। তবে আমরা তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে এই ধরনের মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আর এই ধরনের মন্তব্য যাঁরা করেছেন বা করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করবে দল।