উত্তর দিনাজপুর: বাড়িতে ফ্যান ঠিক করতে এসেছিল পড়শি কিশোর। অভিযোগ, বাড়িতে নাবালিকাকে একা পেয়ে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে। পরিবারের অভিযোগ, বছর দশের ওই মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা জানান, ক্ষত গভীর হওয়ায় এই পরিস্থিতি। এই ঘটনায় আরও একবার শিরোনামে উঠে এল উত্তর দিনাজপুরের নাম। রায়গঞ্জ, চাকুলিয়ার পর এবার ঘটনাস্থল কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকা। আপাতত নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ মেয়েটি একাই বাড়িতে ছিল সোমবার। দাদু, ঠাকুমা কাজে গিয়েছিল। মা বসেছিলেন, এলাকার ছেলেটি ফ্যান ঠিক করতে এলে কাজে বেরোবেন। ওই যুবক এলে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যান ওই মহিলা। অভিযোগ, এরপরই ওই নাবালিকার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় কিশোর। এমনকী কাউকে কিছু বললে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ।
এদিকে ওই কিশোর চলে যাওয়ার পর নাবালিকা ঠাকুমার কাছে গিয়ে বিষয়টি বলে। ঠাকুমা আবার মেয়েটির পিসিকে ফোন করে সবটা জানান। এরইমধ্যে অভিযোগকারীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে ছোটেন বাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে দাঁড়িয়েই কিশোরীর পিসি জানান, “মেয়েটা নিজে বলল ধর্ষণ করেছে। ওর মা মাঠে, আমার মা, বাবাও মাঠে ছিল। ছেলেটা এসেছিল ফ্যান ঠিক করতে। ফ্যান ঠিক না করে মেয়েটার সঙ্গে নোংরামো করল। ও আমার মায়ের কাছে গিয়ে সবটা বলে। তখন মা আমাকে ফোন করে জানায়। এদিকে যত সময় এগোয়, মেয়েটার শরীর আরও খারাপ হয়। তারপরই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমিও যাই। এতটুকু মেয়ে সুস্থ হোক আগে, সেটাই চাই। পুলিশে এখনও যাওয়ার সময়ই পাইনি।”
সম্প্রতি রায়গঞ্জে এক আট বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নাবালিকা বিস্কুট নিয়ে ওই যুবকের বাড়ির সামনে গেলে তাকে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে যায় ওই যুবক। অভিযোগ, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার করলে তার গলায় ছুরি রাখে ও গলা চিপে ধরে বলেও অভিযোগ। কাউকে কিছু জানালে তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Falakata storm update: কয়েক মিনিটের ঝড়, প্রবল শিলাবৃষ্টি, এক লাফে দাম বাড়ল টিনের