SSC News: কেন ‘অযোগ্য’ প্রার্থী নীতীশ বসেছিলেন পরীক্ষায়? উত্তর দিল পরিবার
আইনের এই ফাঁক কি কাজে লাগল নীতীশের? আইনজীবীরা অবশ্য তা মানছেন না। একজনও দাগি প্রার্থী বসবে না, এর অর্থকে আইনজীবী মহল যেভাবে ব্যাখ্যা করছে তাতে নীতীশের বসার কথা নয়। এবার দেখার এসএসসি কী যুক্তি দেয়? উল্লেখ্য, শনিবার এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা যায় ৯৫৮-তে নাম রয়েছে নীতীশের। দাগি হয়েও কীভাবে নাম এল লিস্টে? এই প্রশ্ন তুলে সরব হন তাঁরই স্ত্রী।

কলকাতা: অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে চাকরিতে বসার সুযোগ পেয়েছিলেন? এই প্রশ্ন তুলেই সরব হয়েছিলেন এক ‘অযোগ্য’ নীতীশ রঞ্জন প্রামাণিকের স্ত্রী। কোর্টের বারণের পরও কীভাবে বসলেন পরীক্ষায়? তারপর আবার ভেরিফিকেশন পর্বেও ডাক। এই নিয়ে বিতর্ক গড়াতেই এবার মুখ খুলল নীতীশের পরিবার।
অযোগ্য প্রার্থীর পরিবারের দাবি, নীতীশরঞ্জন প্রামাণিক বিশেষ ভাবে সক্ষম। সেই কারণে আবেদন করতে পেরেছেন। অযোগ্য ওই প্রার্থী বাবা বলেন, “আমার ছেলে তো বিশেষভাবে সক্ষম। ওঁকে তো ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাই পুনরায় আবেদন করেছে। আর তাতে ভাল রেজাল্ট করেছে।”
বিশেষভাবে সক্ষমদের বয়স ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। এখানে উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দেওয়ার সময় কলকাতা হাইকোর্টের রায় কার্যত বহাল রেখেছিল শীর্ষ আদালত। আর সেই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, বিশেষভাবে সক্ষম চাকরিহারারা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। প্রয়োজনে বয়সের ছাড় ও অন্যান্য ছাড় পাবেন। একইভাবে যাঁরা চিহ্নিত অযোগ্য নন, তাঁরাও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। তাঁরাও বয়সের ছাড় পাবেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামায় চিহ্নিত অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছিল।
আইনের এই ফাঁক কি কাজে লাগল নীতীশের? আইনজীবীরা অবশ্য তা মানছেন না। একজনও দাগি প্রার্থী বসবে না, এর অর্থকে আইনজীবী মহল যেভাবে ব্যাখ্যা করছে তাতে নীতীশের বসার কথা নয়। এবার দেখার এসএসসি কী যুক্তি দেয়? উল্লেখ্য, শনিবার এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা যায় ৯৫৮-তে নাম রয়েছে নীতীশের। দাগি হয়েও কীভাবে নাম এল লিস্টে? এই প্রশ্ন তুলে সরব হন তাঁরই স্ত্রী। টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর স্ত্রী বলেন, “পারিবারিক কারণে আমি ওদের বিরুদ্ধে ১২৫ ও ৪৯৮ ধারায় মামলা করেছি। সেটা চলছে। আমি জানাতে চাই, আমার স্বামীর নাম ছিল দাগিদের তালিকায়। অথচ আমি দেখলাম নতুন পরীক্ষাতেও উনি বসেছেন। এটা কী ভাবে সম্ভব আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি।”
অপরদিকে, আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “কাঁপা-কাঁপা গলায় ফোন করে যা তথ্য দিলেন তা সাংঘাতিক। তিনি বললেন আমার স্বামী অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী তবুও ওঁর নাম ভেরিফিকেশনের তালিকায় রয়েছে। ওই ভদ্রমহিলা আমায় অযোগ্যর তালিকায় তাঁর স্বামীর নাম এবং নতুন ইন্টারভিউর তালিকায় নাম দুটোই দিয়ে দিলেন।”
